প্রতিবেদন : বাঁকুড়া জেলার অটিস্টিক শিশুদের সুরক্ষায় তৎপর জেলা প্রশাসন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পড়ুয়া শিশুদের উপর সমীক্ষার উদ্যোগ নেয়। সমীক্ষায় অটিস্টিক স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার রয়েছে বলে সন্দেহ এমন ৩১৫ শিশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কারা প্রকৃত অটিস্টিক, তা নিশ্চিত করতে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই স্বাস্থ্য জেলায় বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। শেষ পর্যন্ত যাদের অটিজম ধরা পড়বে, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া ইত্যাদি সর্বতোভাবে সাহায্য করতে পাশে দাঁড়াবে রাজ্য। বাঁকুড়া স্বাস্থ্যজেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেনের কথায়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বসবে।
আরও পড়ুন-হারারে পৌঁছল শুভমনের দল
অটিজম আছে চিহ্নিত হলে ব্লকের সিডিপিও ছাড়াও রেকর্ড থাকবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরিবারের কাছে। অটিস্টিক শিশুদের স্বাস্থ্য বিষয়ে নিয়মিত ফলোআপ হবে। আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের নিয়ে এই সমীক্ষা না করার ফলে কোনও অটিস্টিক শিশু থাকলে চিহ্নিত করতে সময় লাগত। শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও পড়তেন সমস্যায়। এই প্রথম অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের অটিজম আছে কিনা পরীক্ষা করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। যাতে একেবারে কম বয়স থেকেই তাদের সুচিকিৎসা শুরু করা যায়। এজন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের উপর বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয় কেন্দ্রগুলির প্রশিক্ষিত কর্মীদের দিয়ে। তাতেই ৩১৫ জন শিশুর অটিজম থাকার সম্ভাবনা চিহ্নিত হয়। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ, বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল ও খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের মাধ্যমে এই সব শিশুর বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনও অবধি ২০ জন শিশুকে অটিজমের শিকার বলে চিকিৎসকেরা চিহ্নিত করেছেন। জেলা সমাজকল্যাণ ও স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে চলছে এই কর্মসূচি। শিশু ও অভিভাবকদের যাতায়াতের ব্যবস্থা প্রশাসনই করছে। জানা গিয়েছে, আগস্টেই এই বিশেষ শিবির শেষ হবে। অটিস্টিক শিশুদের চিহ্নিতকরণের পর দ্রুত প্রতিবন্ধী শংসাপত্র করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা ও রাজ্যের মানবিক প্রকল্পের আওতায় এনে মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে প্রশাসন। রাজ্যের এই মানবিক উদ্যোগে খুশি অভিভাবকেরা।