প্রতিবেদন : রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রোজ টিভি ক্যামেরার সামনে গলার শিরা ফুলিয়ে বাইট দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। অথচ তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ চঞ্চল নন্দীর বিরুদ্ধে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত চঞ্চল হোয়াটসঅ্যাপে শুভেন্দুকে চাকরিপ্রার্থীদের এক-একজনের কাছ থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকা করে নেওয়ার কথা জানিয়ে লিখেছে, টাকা নিয়েও চাকরি দিতে না পারায় এখন চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত চাইছে। কী করব? যদিও শুভেন্দু চঞ্চলের এই হোয়াটসঅ্যাপ পেয়ে তা অস্বীকার তো করেনইনি, এমনকী চঞ্চলকে ব্লকও করেননি, এমনটাই অভিযোগ।
আরও পড়ুন-এবার লোডশেডিংমুক্ত দুর্ঘটনাহীন দুর্গাপুজো
চঞ্চলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। কিন্তু এই দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য পুলিশ যাতে তদন্ত না করে তাই শুভেন্দুর পরামর্শে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল চঞ্চল। তাতেও লাভ হল না। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সেই মামলাটাই খারিজ করে দিলেন। এমনকী নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত চঞ্চল নন্দী কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদনের সঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা এফআইআর যাতে খারিজ করা হয় সেই আবেদনও করেছিল। বিচারপতি তাতে কর্ণপাত না করে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষা, চূড়ান্ত তালিকা নভেম্বরে
রাজ্য পুলিশ এবার এই দুর্নীতির তল খুঁজতে তদন্তে নামছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে। এবার কী বলবেন শুভেন্দু?
এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়া থানায় মানসকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তি এফআইআর করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৭-২০২০ সালে প্রাথমিকে, উচ্চপ্রাথমিকে এবং রাজ্যের পরিবহণ দফতর, সেচ দফতর সহ একাধিক সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই দফতরগুলির মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখনই চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা নিলেও মেলেনি চাকরি। তদন্ত থেকে বাঁচতে এদিন আদালতে অনেক প্যাঁচপয়জার কষেন চঞ্চলের আইনজীবী, যদিও তা ধোপে টেকেনি।