সংবাদদাতা, চন্দননগর : ১৭৭টি পুজো কমিটিকে একত্রিত করে উৎসবে সামিল হয় চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। তাই এই বৃহৎ কর্মকান্ড যাতে সুষ্ঠভাবে করা যায় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হল। এই বছর ৬৯তম বর্ষে পড়বে এই পুজো। চন্দননগরের ঐতিহ্যমণ্ডিত এই জগদ্ধাত্রী পুজো কেবল চন্দননগর বা ভদ্রেশ্বরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি সমগ্র বাংলার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন-মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালটে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি, ট্রাম্প না হ্যারিস, পরীক্ষা আজ
কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, চন্দননগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজোকে আরও জনপ্রিয় ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে তারা সারা বছরই কাজ করছেন। ১৭৭টি পূজা কমিটিকে একত্রিত করে এই ঐতিহ্যবাহী পূজাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
চলতি বছরে চন্দননগর থানার অধীনে মোট ১৩৩টি পূজা কমিটি এবং ভদ্রেশ্বর থানার অধীনে ৪৪টি পুজো কমিটি কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে চন্দননগর পৌরনিগমের অধীনে ১৪২টি, ভদ্রেশ্বর পৌরসভার অধীনে ২৪টি এবং চাঁপদানি পৌরসভার অধীনে ১১টি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বছর মোট আটটি জগদ্ধাত্রী পূজার জয়ন্তী বর্ষ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ। এর মধ্যে চন্দননগর পৌরনিগমের অধীনে ছয়টি পুজো জয়ন্তী বর্ষে পড়েছে। দুটি পূজা ৭৫তম বর্ষের প্লাটিনাম জয়ন্তী এবং চারটি পূজা ৫০তম বর্ষের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে। ভদ্রেশ্বর থানার অধীনে দুটি পূজা কমিটিও জয়ন্তী বর্ষে রয়েছে, যার মধ্যে একটি সুবর্ণ জয়ন্তী এবং অপরটি রজত জয়ন্তী পালন করবে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার এই মহোৎসব ইতিমধ্যে সারা বাংলার এক বিশেষ আকর্ষণে পরিণত হয়েছে, এবং কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এই ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করছে।