প্রতিবেদন : জগদ্ধাত্রীপুজোয় মেতে উঠেছে চন্দননগর। চন্দননগর মানেই আলোর জাদু। তাই বাহারি আলোয় ঝলমলে চারপাশ। অধিকাংশ আলোকশিল্পী তাঁদের মুনশিয়ানা দেখাতে জিটি রোড আলোর তোরণ দিয়ে মুড়ে দিয়েছেন। তাই এবার আরও বাড়তি আলো দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমীর দিন থেকেই জনতার ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে তারই মধ্যে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি। কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে কোভিড বিধি। জগদ্ধাত্রীপুজোয় বাহারি আলোতে সেজে উঠেছে চন্দননগর। কোথাও আইফেল টাওয়ার, সামান্য দূরে চোখ যেতেই নজরে পড়ছে বল নিয়ে খেলছে ডলফিন। নিখুঁত আলোর কারিগরি। শোলার কাজ করা অলঙ্কার এবং পোশাকে অসাধারণ রূপে বিরাজ করছেন জগদ্ধাত্রী। বিশালাকার প্রতিমা ও আলোকসজ্জার টানে ঐতিহাসিক চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী উৎসবে আলোর শহরে জনজোয়ার। চন্দননগরের আলোর জাদু দেখতেই দুরদূরান্ত থেকে থেকে আসেন দর্শনার্থীরা। জনজোয়ার সামাল দিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো থেকেই জিটি রোডে ‘নো এন্ট্রি’ করেছে। আগামী ১৬ তারিখ অবধি প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে পরদিন ভোর ৬টা অবধি চুঁচুড়া থেকে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত জিটি রোড যানবাহনের জন্য নো এন্ট্রি থাকছে।
আরও পড়ুন : শেয়ালের থেকে হামলায় তটষ্ঠ জেলার মানুষ
এদিকে কৃষ্ণনগরে পুজো চারদিনের। চন্দননগরের পরের দিন কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর শহরের নুড়িপাড়া বারোয়ারি জগদ্ধাত্রীপুজোর সূচনা হল। এই পুজোর বৈশিষ্ট্য দুর্গাপুজোর মতো চারদিন ধরে পুজো হয়। এদিন ছিল ষষ্ঠী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শকদের জন্য পুজো দেখার ব্যবস্থা করেছেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের পুজো বহু প্রাচীন। তার আশপাশেও একাধিক পুজো হয়। এর মধ্যে উল্লেখ্য চকেরপাড়া, তাঁতিপাড়া, হাটখোলাপাড়া, বালোকে কেশরী এবং চাষাপাড়ার বুড়িমা জগদ্ধাত্রীপুজো। জগদ্ধাত্রীপুজোর পীঠস্থান কৃষ্ণনগর। তাই প্রতিবারই কৃষ্ণনগর শহরের পুজো উদ্যোক্তারা নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেন। এবারে করোনার জন্য অনেক কিছু মেনে চলতে হচ্ছে, থিমের জোয়ারও কম। থিম নিয়ে হাজির মালোপাড়া বারোয়ারি, অনন্যা ক্লাব, উকিলপাড়া, কাঁঠালপাতা বাগদী পাড়া, রায়পাড়া নুড়িপাড়া, আমিনবাজার, চকেরপাড়া, হাতারপাড়া, শক্তিনগর, সেগুনবাগান, নেদেরপাড়া পূজা কমিটি। কৃষ্ণনগর এলাকায় বাড়ির পুজোর সংখ্যা ৫০টি, অনুমোদিত পুজো ১৩০টি, অনুমতি না নিয়ে পুজো দেড় শতাধিক। বৃহস্পতিবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। এবার পুলিশ প্রশাসন কঠোরভাবে নিয়ম বহাল রাখছে। একটি গাইড ম্যাপ বের করা করেছে পুলিশ। বিসর্জন হবে রবিবার, সোমবার।