দুর্ঘটনা এড়াতে ‘অন্ধকার’ আলোর শহর চন্দননগর

ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ‘অন্ধকার’ আলোর শহর চন্দননগরে। মন্থর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া।

Must read

সংবাদদাতা, চন্দননগর : ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ‘অন্ধকার’ আলোর শহর চন্দননগরে। মন্থর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গেও শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। এর জেরেই বড় বড় আলোকসজ্জার কাঠামোগুলির অবস্থা খারাপ। যেকোনও সময় ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই অগ্রিম সাবধানতা অবলম্বন করতেই সেগুলি খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন পুজো কমিটি। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর বাহার। কিন্তু আবহাওয়া সঙ্গ না দেওয়ায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে পুজো উদ্যোক্তাদের। পথের ধারে তৈরি করা আলোর স্ট্রাকচারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ফলে শহরজুড়ে একাধিক লাইটের গেটের বাঁধন আলগা হয়ে যায়। কিছু লাইট খুলে যেতেও দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-৭ ম্যাচে ৬ হার, চাপ বাড়ছে লিভারপুলের

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আগে থেকেই সেগুলি খুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করল শহর জুড়ে বিভিন্ন পুজো কমিটি। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তাঁরা। ফলে দেবীর বিসর্জনের আগেই অনেক জায়গার আলো নিভে গেল। বুধবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ভেঙে পড়ে চন্দননগর স্ট্যান্ডে বিজ্ঞাপনের ব্যানারও। এদিকেই মঙ্গলবারই চনন্দনগরের কানাইলালপল্লি এলাকার সবচেয়ে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার মণ্ডপ ভেঙে পড়ে। মণ্ডপের একটা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ঘটনায় সাতজন দর্শনার্থী জখম হন। প্রবল দমকা হাওয়ার জেরে এই কাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিক অনুমান। ঘটনার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী ও চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনার-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেয় প্রশাসন।

Latest article