প্রতিবেদন : চাঁদে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান। আর একটু স্পষ্ট করে বললে, হেঁটে বেড়াচ্ছে। বুধবার বিক্রম থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেই শুরু হয়েছে রোভার প্রজ্ঞানের পরিক্রমা। ১৪ দিন ধরে চন্দ্রপৃষ্ঠে বিভিন্নরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে এটি। প্রকৃত অর্থেই ইতিহাস তৈরি করে চাঁদের দেশে ভারত। সফল ইসরোর চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত গোটা দেশ। কিন্তু ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তির পাশাপাশি বিদেশি এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, এবারে চাঁদে অভিযানের পরবর্তী ধাপের কথা ভাবছে ইসরো। প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে চন্দ্রযান-৪-এর অভিযানের। জাপানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুপেক্স’।
ইসরো-সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan-3) প্রোপালসান মডেল, চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারও চাঁদের চারপাশে চক্কর দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে সংযোগ রাখা হচ্ছে ৩২ মিটারের একটি ডিস অ্যান্টেনার সাহায্যে। ভারতের সর্ববৃহৎ এই অ্যান্টেনাটি বসানো রয়েছে বেঙ্গালুরুর কাছে বাইলুরুতে। কিন্তু, ল্যান্ডার যে মুহূর্তে চাঁদের অন্ধকারময় অংশের দিকে চলে যাবে, তখন এটি দিয়ে আর তাকে ট্র্যাক করা সম্ভব নয়।
আর তখনই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) ও ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। তাদের ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রম, চন্দ্রযান ৩-এর প্রোপালসান মডেল, চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে ইসরো। অর্থাৎ, চন্দ্রযান ৩-এর একশো শতাংশ সাফল্যের জন্য কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না ইসরো।
আরও পড়ুন-কাকলির মতে, বিজেপি সাংসদকে সুবিধে পাইয়ে দিতে চাঁদপাড়ার অমৃত ভারত প্রকল্পে ঠাঁই হয়েছে