কলকাতা থেকে লন্ডন সরাসরি বিমান চালানোর প্রস্তাব আনলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

কিন্তু সরাসরি বিমান শুরু হলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেই নিশ্চিত তারা। এর ফলে কলকাতার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে।

Must read

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) কলকাতা থেকে লন্ডন (Kolkata-London), শিকাগো, নিউ-ইয়র্ক এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে সরাসরি বিমান চলাচলের প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব বিধানসভায় উত্থাপন করেন। আজ,তিনি জানান, রাজ্য সরকার কলকাতা থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগের প্রসার ঘটানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছে। তিনি বলেন, ”একটা প্রস্তাব জমা দিয়েছি। অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে বলেছি। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আসলে আন্তর্জাতিক চরিত্র কতটা বজায় আছে সেটা দেখতে হবে। এখান থেকে যে বিমানগুলি আগে ইউরোপ এবং আমেরিকায় যেত সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এই প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোজাসুজি ইউরোপে-আমেরিকায় বিমান চালানো যায়।”

আরও পড়ুন-সেনার ছুরিতেই পরিবারকে খুন ২০ বছরের অর্জুনের

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে বহুবার জানিয়েছেন রাজ্যের বাণিজ্যিক উন্নতি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কলকাতা থেকে ইউরোপের দেশে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হওয়া প্রয়োজন। দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরু থেকে ইউরোপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জায়গায় সরাসরি বিমান পরিষেবা রয়েছে। কলকাতা থেকে এখনো এই ধরনের আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়নি।

আরও পড়ুন-কেরলে সরকারি হোমে নৃশংসতার শিকার একরত্তি শিশু

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন কলকাতা থেকে ইউরোপের সরাসরি বিমান চালু হলে সেটা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ও শিল্পপতিরা কলকাতায় বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন। শুধু তাই নয়, কলকাতার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যও উন্নতিসাধন করবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ কলকাতা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের সুবিধাসম্পন্ন বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলবে। সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে ভ্রমণকারীদেরও অনেক সুবিধা হবে। সময় এবং অর্থ দুইই সাশ্রয় হবে এর ফলে। কলকাতা আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হবে বলেও মনে করছে রাজ্য। এই মুহূর্তে কলকাতায় বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু সরাসরি বিমান শুরু হলে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেই নিশ্চিত তারা। এর ফলে কলকাতার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটবে।

Latest article