বিএসএফের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। চোপড়ায় চার শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৯ ফেব্রুয়ারি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া যাবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। অকালে প্রাণ হারানো চারটি নিষ্পাপ শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করবেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন। এই ঘটনায় ১২ জনের প্রতিনিধিদল তৈরি করে ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, রাজ্যপালকে চোপড়া পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। শিশুমৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিও জানান তারা। চোপড়ায় ১৯ তারিখ তৃণমূলের মহিলা শাখার নেত্রীরাও উপস্থিত থাকবেন। স্থানীয় জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে চোপড়ার বিএসএফ ক্যাম্পের বাইরে চলমান নীরব প্রতিবাদে যোগ দেবেন মন্ত্রী (Chandrima Bhattacharya)।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চক্রান্তে আধার লিঙ্ক কাটলেও পাশে রাজ্য, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
জানা গিয়েছে,সম্প্রতি চোপড়ার দাসপাড়া পঞ্চায়েতের চেতনাগছে বিএসেএফের খোঁড়া ট্রেঞ্চের মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার শিশুর। এই পরিস্থিতিতে চোপড়ার ঘটনাস্থলে একটি বোর্ডে লালকালিতে ‘বিপদ’ লেখা একটি কাগজ সাঁটানো হয়েছে। কারা ওই বোর্ড লাগিয়েছে তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, বিএসএফের তরফেই ওই বোর্ড লাগানো হয়েছে। যদিও এনিয়ে বিএসএফ মুখে কুলুপ এঁটেছে। চোপড়ায় শিশুমৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, আমি বিএসএফের শাস্তি চাই। কেন্দ্রকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস দাবি করেছেন, মাটি চাপা পড়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বিএসএফের স্থানীয় আধিকারিকরা স্বীকার করে নিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে নারাজ।