প্রতিবেদন : জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, অনেক হয়েছে, আর নয়। কেন্দ্রের কোনও অজুহাতই আর চলবে না। অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে বাংলার প্রাপ্য টাকা। তিনি বুঝিয়ে দেন, এটা রাজ্যের মানুষের ন্যায্য অধিকার। তাঁদের টাকাই তুলে নিয়ে গিয়ে বাংলাকে দিনের পর দিন বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র। এটা যে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয় তাও স্পষ্ট করে দেন বাংলার অর্থমন্ত্রী। এই বৈঠকই ছিল জিএসটি কাউন্সিলের প্রি-বাজেট বৈঠক। কাউন্সিলের এই ৫৩ তম বৈঠকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বীকারোক্তি। কেন্দ্র যে এবার পেট্রোল-ডিজেলের ওপরেও জিএসটি বসানোর ছক করছে তা স্বীকার করে নেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই এর বোঝা চাপবে সাধারণ মানুষের ঘাড়েই।
আরও পড়ুন-প্রোটেম স্পিকারের সহায়ক হবেন না সুদীপ
এদিনের বৈঠকেই দুধের ক্যানের ওপর ১২ শতাংশ জিএসটি চাপানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা দুধেরও। ১২ শতাংশ জিএসটি চাপানো হচ্ছে সোলার কুকারেও। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার সব ব্যবস্থাই করে ফেলছে গেরুয়া কেন্দ্র। সবমিলিয়ে এদিনের বৈঠকে মোট ১০ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, শুধুমাত্র বরাদ্দ করলেই হবে না, সেই টাকাগুলো রাজ্য পাচ্ছে কি না সেটাও দেখতে হবে কেন্দ্রকে। বিভিন্ন খাতে টাকা আমাদের রিলিজ করা হয় না। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলেছেন। বলতেই পারেন তাতে আমাদের অসুবিধা নেই। আমি বলেছি আমাদের সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার বলে কি আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা হবে না। কেন্দ্র বিভিন্ন স্কিমের টাকা দিচ্ছে না যেগুলো গরিব মানুষদের জন্য করা। আমাদের রাজ্য সরকার, আমাদের ভাগেরটা আমরা দিয়ে দিই কিন্তু কেন্দ্রের তরফে যেটা আসার কথা তা আসে না। তাঁর সংযোজন, ৫৯ লক্ষ মনরেগার শ্রমিক। তাদের টাকা আমরাই দিয়েছি। আবাস যোজনার টাকাও আমরা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলছেন। কিন্তু যেগুলো তালিকায় আছে তার টাকাই তো এখনও দেননি। এগুলো তো ভাবতে হবে। বাংলার মানুষের কথাও তো ভাবতে হবে। তেলের সেস এবং সারচার্জের কথা বলেছি। ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট লোন যেগুলো সব রাজ্য পেয়ে থাকে সেটাও আমাদের দেওয়া হয়নি। আমাদের অসুবিধে হচ্ছে। রাজ্যের তরফে সমস্ত সার্টিফিকেট দেওয়ার পরও আমাদের টাকা দেওয়া হয়নি। গাইডলাইনে কী একটা রঙের কথা বলা আছে, রং তো মানুষের বিচার্য বিষয় হতে পারে না। ১৫ তম অর্থ কমিশনের ৮৫০ কোটি টাকা আমরা স্বাস্থ্য খাতে পাইনি। আমাদের রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা আসেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। এই খাতের টাকাগুলো আমাদের পাওয়া দরকার।