বিরোধী দলনেতার ন্যক্কারজনক মিথ্যাচার, মুখোশ খুলে দিলেন চন্দ্রিমা

বিরোধী দলনেতা এফআরবিএম আইন ও প্রয়োগ পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন জানেন না। বাম আমলে এটি চালু হয়। কেন্দ্র তার সংশোধনী এনেছে।

Must read

প্রতিবেদন : বিরোধী দলনেতার ন্যক্কারজনক মিথ্যাচার প্রকাশ্যে আসতেই তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে তাকে ধুয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অর্থমন্ত্রী বলেন, এক, জাতীয় আয়ের চেয়ে বাংলার গড় আয় অনেকটা বেশি। এটা কেন্দ্রীয় সরকার তার তথ্যেই স্বীকার করেছে। দুই, রাজ্যের জিএসডিপি শেষ এক বছরে ৩-৪ শতাংশ বেড়েছে। তিন, বাংলার ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট উন্নত হওয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা বেড়েছে।

আরও পড়ুন-যাদবপুরের উপাচার্যের অনুযোগ, টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র

রাজ্য সরকার ঋণের সীমা অতিক্রম করেছে বলে মিথ্যাচার শুরু হয়েছে। এরা আসলে বাংলার ভাল চায় না। কেন্দ্রীয় আইন না জেনে, কোনও তথ্য হাতে না নিয়েই মিথ্যাচারে বসেছে। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে বিরোধী দলনেতা টুঁ-শব্দ করেননি। কারণ তিনি জানেন, বাংলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। চন্দ্রিমা বলেন, বলা হচ্ছে ঋণ না পেলে রাজ্য সরকার নাকি বেতন দিতে পারবে না! ঋণের সীমাও নাকি অতিক্রম করেছে! মিথ্যাচারী বিরোধী দলনেতার জেনে রাখা ভাল, যে অর্থ চাওয়া হয়েছে তা একেবারে চাওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় নিয়ম ও আইন মেনেই চাওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্য সরকারও সেটাই করে। সৎ সাহস থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ কোটি টাকা মিটিয়ে দিক। তাহলে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে না।

আরও পড়ুন-শিক্ষা দফতরের নির্দেশ, স্কুলের নোটিশ বোর্ডে রাখতে হবে শিক্ষকদের বায়োডাটা

বিরোধী দলনেতা এফআরবিএম আইন ও প্রয়োগ পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন জানেন না। বাম আমলে এটি চালু হয়। কেন্দ্র তার সংশোধনী এনেছে। বিধানসভায় তা অনুমোদিত হয়েছে। রাজ্য যতটা ঋণ নিতে পারে তার চেয়ে এই বছর কম ঋণ চাওয়া হয়েছে। রাজ্য ৫৮ হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারে। সেই সীমা অতিক্রম করেনি। সরকারি কর্মীদের বেতন নিয়ে একই বিভ্রান্তি এর আগে বামেরাও ছড়িয়েছে। মাস পয়লা বেতন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় থাকেন না। তাই এই বিষয়ে তিনি অজ্ঞ।

Latest article