ষোলো বছরের ক্যাথরিন কোইসাসি। যার স্বপ্ন মহাকাশচারী হওয়ার। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর পথটা খুব মসৃণ ছিল না তার কারণ কোইসাসি তানজানিয়ার মাসাই গ্রামের মেয়ে। তানজানিয়ার মাসাই সমাজের স্ত্রী, মেয়ে কঠোর লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার। মাসাইরা মনে করে মেয়েদের জন্মই হয়েছে স্ত্রী এবং মাতৃত্বের জন্য। শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের প্রবেশাধিকার প্রায় নেই। বহু মেয়েকেই একপ্রকার জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। কারণ ওঁদের সমাজে আজও মেয়েরা উচ্চ আয়ের উৎস। তাঁরা মেয়েদের বিয়ে দেয় কোনও ধনী বৃদ্ধের সঙ্গে অথবা এমন কারও সঙ্গে যে সেই মেয়েটিকে বিয়ের বিনিময় তার পরিবারকে অনেকটা দাম দিতে পারবে। যদিও এখন সেখানে নারী উন্নয়নের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ক্যাথরিন মাসাই উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন গার্লস সেকেন্ডারি স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী। ইতিমধ্যে সে জনপ্রিয় কারণ মাসাই গোষ্ঠীর কিশোরী মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে।
আরও পড়ুন-ভারতে বন্ধ হল পাক প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল
এ তো গেল তানজানিয়ার মতো আদিবাসী গোষ্ঠীর কথা। শুধু আদিবাসী সমাজ নয় বিশ্বের উন্নত শহুরে সভ্যতাতেও লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার মেয়েরা। আর লিঙ্গ বৈষম্যের অন্যতম কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মেয়েদের বিয়ের স্বল্প বয়ঃসীমা।
কিছু মাস আগেই মালদায় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক ১৬ বছরের কিশোরী মায়ের।
মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি ১৪ বছরের এক কিশোরী গীতা (নাম বদলে) ২৫ বছরের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম বয়সে বিয়ের ফলে মেয়েদের শারীরিক গঠন ঠিকমতো তৈরি হয় না ফলে সন্তানের প্রসব তাঁদের জন্য জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এদেশে নাবালিকা প্রসূতির মৃত্যুর হার খুব কম নয়।
আরও পড়ুন-দুঁদে গোয়েন্দা ভাবনা
প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ মেয়ের বিয়ে ১৮ বছর বয়সের আগেই হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রতি ২ সেকেন্ডে প্রায় একজন মেয়ে তার শৈশব হারায়। বিশ্ব জুড়ে, ১৩২ মিলিয়ন মেয়ে স্কুলে পড়ছে না, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কম, বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা বলছে, ১৪ বছর হয়ে গেলে মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দেওয়ার কারণ হল আর্থিক চাপ, বাড়িতে গৃহস্থালির দায়িত্ব কাঁধে চাপা। সেই কারণে তারা পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ শতাংশ মেয়েদের স্কুল ছাড়ার কারণ হল, বিয়ে। এর থেকে এটাই পরিষ্কার হয় যে কম বয়সে বিয়েই মেয়েদের পুরুষের থেকে পিছিয়ে রাখছে। তাহলে কি এই বৈষম্য মোছার একমাত্র পথ মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানো।
এই প্রসঙ্গে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, আজকাল ম্যাচিওরিটি মাত্রা এমন একটা পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে ১৮ কেন যদি আমরা ২৫ বছরের একটি মেয়ের কার্যকলাপ দেখি হতভম্ব হয়ে যাই। এই ফিল্ডে বহুদিন কাজের সুবাদে এমন ঘটনাও জানা রয়েছে ১৮-র কমবয়সি মেয়েরা নিজেদের ন্যুড ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে রোজগার করছে। ধরাও হয়েছে সেইসব অপরাধ। তাহলে এটা তো বেআইনি, কিন্তু তারা এইগুলো তো শিখে যাচ্ছে, কাউকে শেখাতে হচ্ছে না তো! তাহলে বিয়েটাই সব নয়, নিজের পায়ে দাঁড়াতে এটা কেন শিখিয়ে দিতে হচ্ছে। আসলে সবটাই পারিবারিক শিক্ষা বা গ্রুমিং অর্থাৎ কীভাবে বড় হয়ে উঠছে একটা মেয়ে, সে কী শিখছে। সবটাই হল মেন্টাল সেট আপ। বাবা-মায়েরাই চান বিয়েটা হোক, দরকারে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাচার হচ্ছে মেয়েরা রেড লাইট এরিয়াতে। তারপর তাদের জায়গা হচ্ছে হোমে। সুতরাং মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়লেও লাভ কিছু নেই। জরুরি হল মেয়েটির শিক্ষা এবং তার বাবা-মায়ের শিক্ষা ও তাদের সচেতনতা। অনেক পরিবার দারিদ্রসীমার নিচে থাকলেও বেসিক খাবারটা কিন্তু এখন সরকার দিচ্ছে। সে ছাত্র বা ছাত্রী স্কুলে পড়ার সময় পয়সা পাচ্ছে, মিড ডে মিল অর্থাৎ স্কুলে গেলেই খাবারটা পাচ্ছে। তাও অনেকেই ড্রপ আউট। বহু মানুষ কষ্ট করে পড়াশুনো করে, অনেককেই সংগ্রাম করতে হয়। কাজেই বিয়েই কিন্তু একমাত্র অপশন নয়। লিঙ্গ বৈষম্যের কারণটাই হল দীর্ঘদিনের মাইন্ডসেট যে ছেলে খাওয়াবে-পরাবে, মেয়ে পরের বাড়ি চলে যাবে। এই মাইন্ডসেটের বদল জরুরি। যতদিন না হবে ততদিন পর্যন্ত বৈষম্য যাবে না।
আসলে মেয়েদের বিয়ের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৈশোরের যৌনতার গন্ধ। বয়ঃসন্ধিতে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্বাভাবিক আকর্ষণ তৈরি হয়। মেয়েটি নিজের পছন্দের ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। গ্রামাঞ্চলে পালিয়ে বিয়ে করার সংখ্যা প্রচুর। বিয়ে শুধু বাবা-মা দেয় না, মেয়েরা নিজেরাও ওটাকেই অপশন মনে করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিক্ষা এবং শিক্ষার পর উপার্জনের সুযোগ থাকলে মেয়েদের বিয়ের বয়স আপনা থেকেই নাকি বেড়ে যায়। তাই তাদের জন্য গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামো বাড়াতে হবে।
কিন্তু সেই লক্ষ্যে কতটা এগিয়ে বিশ্ব।
আরও পড়ুন-অতর্কিত প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় হাফিজ সইদের আস্তানা বদল
বিয়ে ষোলোতে হোক বা আঠারো, এর সঙ্গে দারিদ্রের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। যা মেয়েদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দেয়, ভায়োলেন্সের ঝুঁকি বাড়ায়। বলা খুব সহজ বিয়ের বয়স বাড়লেই মেয়েদের প্রতি বৈষম্য দূর হবে কিন্তু যিনি পরিস্থিতির শিকার তিনিই বোঝেন। এই প্রসঙ্গে সাহিত্যিক দেবারতি মুখোপাধ্যায় বললেন, বিদ্যাসাগর বিধবাবিবাহ আইন এনেছিলেন ১৮৫৬ সালে কিন্তু তার পঞ্চাশ বছরের মধ্যে ক’টা বিধবা বিয়ে করতে পেরেছিলেন হাতগুনে বলা যায়। তেমনই আইন করে বা নিয়ম করে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়লেই যে মেয়েরা আর্থিক ভাবে সাবলম্বী এবং পুরুষের সমান হয়ে উঠবে এটা আমি মনে করি না। তার কারণ এটা একটা মাইন্ডসেট। অনেক মেয়েই কমবয়সে বিয়ে করেও পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আবার অনেক মেয়ের পড়াশুনো করেও কিছু করতে পারেনি। মেয়েদের মধ্যে আর্থিক সাবলম্বী হয়ে ওঠার বোধটা তৈরি হওয়া জরুরি। গ্রামীণ ভারত এক অন্য ভারতবর্ষ। এখানে দাঁড়িয়ে ওই পরিস্থিতিটা আমরা বুঝব না। গ্রামে আকছার চোদ্দো, পনেরো, ষোলো বছরের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। এর কারণ গরিবি। যাদের কাছে পেট ভরে খেতে পাওয়াটাই বিলাসিতা, টাকা নেই, তাদের কাছে বিয়েটাই মেয়েকে বাঁচানোর, সুরক্ষিত করার একমাত্র পথ। তবুও বলব পরিবর্তন এসেছে। মানসিকতার বদল ঘটছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলছে, যে কোনও পরিস্থিতিতেই একই পিতামাতার কন্যা ও পুত্র পৈতৃক ভূসম্পত্তিতে সমান অধিকার পাবেন। কিন্তু মেয়েদের বঞ্চিত করার জন্য সমাজ ফিকির খোঁজে। অনেক বাবা-মা মৃত্যুর আগে পুত্রের নামে দানপত্র করে যায়। কিন্তু মেয়েরা সম্পত্তির অধিকার পেলে শ্বশুরবাড়িতে এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, জোর বাড়ে। বিশেষত নিম্নবিত্ত কৃষিজীবী পরিবারের মেয়ে জমির অধিকার পেলে তার বাঁচার পথটা সুগম হয়। কিন্তু পরিবার থেকেই মেয়েরা প্রথম লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার। এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক রোশনি ভৌমিক বললেন, আজকের দিনেও মেয়েরা ডমিনেটেড হতেই ভালবাসে। আমি এরকম মেয়েও দেখেছি যাঁরা এমবিবিএস করেও হোমমেকার হয়ে রয়ে গেছেন স্বেচ্ছায়। বেতনহীন শ্রমিক তাঁরা। তাই বিয়ের বয়স বাড়লেই লিঙ্গসাম্য আসবে না। এটা তখনই সম্ভব যখন বাবা-মায়েদের জন্যেও একটা স্কুল তৈরি হবে। মানে পরিবারকে সবার আগে শিক্ষিত এবং সচেতন হতে হবে। কারণ একটা মেয়ে বড় হয়ে ওঠে পরিবারেই। তারাই মেয়েকে শেখাবে কিন্তু বেশিরভাগ পরিবার বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে মা-বাবা ছোট থেকে এটাই ঢুকিয়ে দেয় যে বড় হলে তোমাকে সংসার করতে হবে। দারিদ্রের কারণে বহু পরিবারই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয় সেটাও আকছার দেখছি বা জানছি কিন্তু এটাও বিয়ের কোনও অজুহাত নয়। যোগ্য হয়ে উঠতে হলে পুঁথিগত বিদ্যাই লাগবে এমনটা নয়। এখন অনেক অপশন। সরকার অনেক কিছু করছে। হতদরিদ্রতা থেকেও একটি মেয়ে চাইলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, এই বৈষম্য দূর করতে পারে। এখানে ভিলেন হল মাইন্ডসেট— যেটার বদল হওয়া ভীষণ দরকার।
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য জরিপ (NFHS-5) জানিয়েছে যে প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২০০৫-২০০৬ সালে ১৭.২ বছর থেকে বেড়ে ২০১৯-২০২১ সালে ১৯.২ বছর হয়েছে। তবে বিহার-সহ আটটি রাজ্যে, ৪০ শতাংশ মেয়ে এখনও অল্প বয়সে বিয়ে করে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংখ্যা আরও বেশি— ৪৮ শতাংশ মেয়ে যাদের খুব কম বা কোনও শিক্ষা নেই, এবং দরিদ্রতম পরিবারের ৪০ শতাংশ মেয়ে ১৮ বছরের আগে বিয়ে করে। এই নিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেনস শিক্ষিকা এবং ‘রিসার্চ ফেলো’ সৃজনী বসাক বললেন, বিয়ে নিয়ে একটা মেয়েকে, সর্বোপরি তার পরিবারকে ভাবতে হবে। কারণ আমাদের সমাজে এখনও অধিকাংশ মেয়ে স্বাধীন নয়, অন্তত এই ক্ষেত্রে। বাল্যবিবাহ তো রয়েছেই সেই সঙ্গে অনেক পরিবার স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েকে কমবয়সে বিয়ে দিয়ে দেন। অনেককেই বলতে শুনেছি, ভাল পাত্র পেয়েছি তাই হাতছাড়া করলাম না। অনেক মেয়ে নিজেও এমনটাই চান। ফলে সেই মেয়েটি বিয়ের পর পড়াশুনো করে হোক বা চাকরি করে— কোনওটাতেই পুরুষের সমগোত্রীয় হয়ে উঠতে চান না বা চাইলেও পারেন না। সংসার তাঁকে ওইভাবেই ভাবতে শেখায়। ব্যতিক্রম সবক্ষেত্রেই আছে কিন্তু মূল ছবি এটাই। এর শুরুটা পরিবার থেকেই হয়। একটা ষোলো বছরে মেয়ে আর একটা ষোলো বছরের ছেলে বাড়িতে এক ট্রিটমেন্ট পায় না। কাজেই বৈষম্য দূর করতে আগে বদল দরকার মেয়েদের এবং মেয়েদের প্রতি পরিবার ও সমাজে মানসিকতার বদল হওয়া।
বাল্যবিবাহ লিঙ্গ-বৈষম্যের মূলে। যা মেয়েদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক সুযোগের অধিকারকে লঙ্ঘন করে। এ এক পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা। দারিদ্র, শিক্ষার অভাব, নিরাপত্তাহীনতার কারণে সমাজের কাছে মেয়েদের জন্য বিয়েটাই সহজ সমাধান। সরকারি স্কুল শিক্ষিকা সুরভি পাল বললেন, বয়স নিয়ে কি সত্যি ভাবে মেয়েরা? বহু মেয়ে নিজেই বিয়ে করে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চায়। যতই সে নিজের পায়ে দাঁড়াক না কেন, আল্টিমেট লক্ষ্যটা হয়ে দাঁড়ায় ভাল ছেলে দেখে বিয়ে। তারা সচেতন যে বিয়েটাই তার জীবনের লক্ষ্য। আমার মনে হয় একজন মেয়ের পাশাপাশি তার বাবা-মায়েরও শিক্ষা এবং সচেতনতা সমানভাবেই জরুরি। বদল দরকার জন্মলগ্ন থেকে। মেয়ে মানেই তাকে একটা সময় গিয়ে পাত্রস্থ করতে হবে, ছোট থেকে ঘরকন্না শিখতেই হবে, না হলে পরের বাড়ি গিয়ে বদনাম, এই যে কনসেপ্ট, এর বদল দরকার। উচ্চশিক্ষিত পরিবারেও রয়েছে এমন মনোভাব। কাজেই লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে সবার আগে জরুরি মাইন্ডসেট বদলের।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের প্রশ্নে দ্বিচারিতা কংগ্রেস ও সিপিএমের
উপসংহার এটাই— আসলে লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে মেয়েদের বিয়ের বয়সের নয়, চাই মানসিকতারও বদল। স্কুলের পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে, পরিবারে সকলের সমান সচেতনতায় এমন একটা পৃথিবী অদূর ভবিষ্যতে তৈরি করতে পারি যে, সমাজ মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তা করবে না এবং তাদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের এবং সহিংসতা-মুক্ত জীবনযাপনের সুযোগ করে দেবে।