প্রতিবেদন: দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীর ক্ষমতার রাশ থাকবে কোন পক্ষের হাতে, তা ঠিক করতে ২০ নভেম্বর অগ্নিপরীক্ষা। মারাঠাভূমে ক্ষমতার বহুমুখী দ্বন্দ্ব নিয়ে চাপে বিজেপি। কারণ অপারেশন কমল করে রাজ্যে ক্ষমতার দখল নিলেও মহাবিকাশ আঘাড়ির চ্যালেঞ্জ সামলাতে প্রচারপর্বে হিমশিম খেতে হয়েছে মোদির দলকে। সেইসঙ্গে শরিকি দ্বন্দ্ব মহাপ্রচারপর্বে কাঁটা হয়েছিল শাসক শিবিরে। পাশাপাশি বিজেপির দুই শরিক একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপির অবস্থাও লক্ষণীয়। একদিকে উদ্ধব ঠাকরে এবং অন্যদিকে প্রবীণ শারদ পাওয়ারের কৌশলের কাছে কোণঠাসা দুই বিজেপি শরিকই। শিন্ডে আর অজিতের বিশ্বাসঘাতকতায় ভর করেই মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা মাঝপথে দখল করেছে মোদির দল। দল ভাঙানোর এই বিশ্বাসঘাতকতার কী জবাব দেয় মহারাষ্ট্রবাসী, তা দেখা যাবে এবারের বিধানসভা ভোটে।
আরও পড়ুন-যোগীর বিরুদ্ধে ফের তোপ মৌর্যর
নির্বাচনের প্রচারপর্ব শেষ হয়েছে সোমবার৷ ২৮৮টি আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে বুধবার৷ ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর৷ নির্বাচনী প্রচারের শেষলগ্নে দাঁড়িয়েও এদিন পরস্পরের প্রতি তোপ দেগেছে শাসক জোট মহাজুটি এবং বিরোধী শিবির মহাবিকাশ আগাড়ি৷ প্রত্যাবর্তন বনাম পরিবর্তনের এই লড়াইয়ের প্রচার পর্বের অন্তিম ধাপে সোমবার দুই শিবিরই চেষ্টা করেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদপত্রে বড় বড় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার৷ বিজেপি এবং তাদের শরিক দল বিক্ষুব্ধ এনসিপি এবং বিক্ষুব্ধ শিবসেনার জোট মহাজুটির সরকার মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য যে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি, বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে সেই দাবি জানানো হয়েছে বিরোধী শিবির মহাবিকাশ আগাড়ির তরফে৷ এর পাল্টা দিতে গিয়ে বিজেপি এবং তাদের শরিকদের তরফে তুলে ধরা হয়েছে করোনাকালের দৃশ্য৷ এরই মাঝে ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ শেষ মুহূর্তে যাতে কোনওভাবেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তত্পর আছে নিরাপত্তা বাহিনীও৷ নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশন সূত্রের দাবি, মহারাষ্ট্রের এবারের বিধানসভা ভোটে আগের পর্বগুলির ভোটদানের হারকে ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে উঠবে৷ এই আবহে শেষ পর্যন্ত কারা জয়ী হয়, তা জানার অপেক্ষা এখন।