বদল দিঘার অর্থনীতিতে

এই রথযাত্রার উৎসবকে কেন্দ্র করে সৈকত নগরীতে আছড়ে পড়েছে মানুষের ঢেউ। হোটেলগুলোতে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা।

Must read

তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: সমুদ্র তো ছিলই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জগন্নাথধাম। এই দুইয়ের মেলবন্ধন পাল্টে দিয়েছে দিঘার অর্থনীতির চালচিত্র। আর এই রথযাত্রার উৎসবকে কেন্দ্র করে সৈকত নগরীতে আছড়ে পড়েছে মানুষের ঢেউ। হোটেলগুলোতে ‘ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই’ অবস্থা। জগন্নাথধাম বদলে দিয়েছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

শুক্রবার থেকে দিঘায় এই প্রথম শুরু হয়েছে রথযাত্রা। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন দিঘায়। আর তাতেই রথের কয়েকদিনে দিঘার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বদল ঘটবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে হাজার ছুঁই-ছুঁই হোটেল। প্রত্যেকদিনই সমস্ত হোটেলগুলি পর্যটকে পরিপূর্ণ থাকে। তবে রথের এই কয়েকদিনের জন্য আগাম সমস্ত হোটেল বুক হয়ে গিয়েছে। হোটেল মালিক প্রমোতোষ ঘোড়াই জানান, রথের জন্য আগে থেকেই অনেক পর্যটক বুকিং করে নিয়েছেন। এখন আমাদের হোটেলে আগামী এক সপ্তাহ কোনও রুম ফাঁকা নেই। দিঘায় এই ধরনের অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো অনেক উন্নত হবে। ইতিমধ্যে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাস্তার ধারে ধারে বসেছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। চারা গাছের পাশাপাশি বসেছে ধর্মীয় উপকরণের দোকান। তাতে মানুষ রথ দেখার পাশাপাশি কেনাকাটাও করছেন। পুতুল বিক্রেতা রামপদ দাস বলেন, রথের জন্য এই দোকান নিয়ে এসেছি। সকাল থেকে ভালই মানুষ এসেছেন। বিক্রিবাট্টা ভাল চলছে। এরকম চললে ব্যবসায়ীদের ভালই হবে। ইতিমধ্যে হোটেলে কালোবাজারি রুখতে নয়া ফরমান জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তাতে ন্যায্য মূল্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাতে আরও মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সৈকত শহরে। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, রথের সময় বিভিন্ন হোটেলে ভালই বুকিং রয়েছে। পর্যটক এলে ব্যবসায়ীদের অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে। রথযাত্রার জন্য যেভাবে পর্যটক আছেন তা ব্যবসার একটি ভাল দিক।
পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি ব্লকের মানুষের রুজি-রুটি এই দিঘার পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। জগন্নাথ মন্দির এবং রথের টানে পর্যটকদের আগমনে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো উন্নত হবে তাঁদেরও। বদলে যাবে আশেপাশের পরিস্থিতি। ফলে দিঘার অর্থনীতি যে আগামী দিনে বদলাতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Latest article