সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার এবং নির্যাতিতার পরিবারকে রেকর্ড সময় ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করার জন্য সোমবার ফরাক্কাবাসীর তরফে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় এবং এএসপি মহম্মদ নাসিমকে তাঁদের অফিসে গিয়ে সংবর্ধনা জানালেন স্থানীয় বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন ও একাধিক তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন-আসানসোলে জমি-মাফিয়াদের তাণ্ডব জেলাশাসককে চিঠি খোদ আইনমন্ত্রীর
গত ১৩ অক্টোবর দাদুর বাড়ির সামনে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয়ে যায় রেলকলোনির বছর দশকের নাবালিকা। তিন ঘণ্টা পর দীনবন্ধু হালদার নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার বস্তাবন্দী দেহ। গ্রেফতার হয় সে। তাকে জেরা করে ধরা হয় সাহায্যকারী শুভজিৎ হালদারকে।
আইসি, এএসপি, এসডিপিও-দের নিয়ে এসপি আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে এক বিশেষ তদন্তকারী দল ২১ দিনের মাথায় জঙ্গিপুর আদালতে চার্জশিট দেয় এবং ৬১ দিনের মাথায় আদালত দীনবন্ধুকে মৃত্যুদণ্ড ও শুভজিৎকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়।
ইতিমধ্যেই দ্রুত বিচারে ‘ফরাক্কা মডেল’ নিয়ে জানতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টও বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছে।
মনিরুল বলেন, নির্যাতিতার পরিবার যেভাবে রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রেখেছিল তার যথাযথ মর্যাদা দিয়েছে পুলিশ। সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে গঠিত দল রেকর্ড সময়ে ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করেছে। তাই ফরাক্কাবাসীর তরফে ওঁদের সংবর্ধনা জানালাম।