প্রতিবেদন: প্রতিহিংসার রাজনীতি অব্যাহত ইউনুসের বাংলাদেশে। অতিসম্প্রতি বেআব্রু হয়ে গিয়েছে শেখ হাসিনাকে কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে ভুয়ো খুনের মামলায়। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবেড়িয়ার যে ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা হয়েছিল মামলা, সেই ব্যক্তি যে আসলে জীবিত তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি নিজেই। চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছেন তিনিই। তবুও পিছু হটার কোনও লক্ষণই নেই ইউনুস এবং তাঁর অনুগামীদের। এবারে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে চার্জ গঠন করা হল বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হওয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তিনি নাকি মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছেন বলে কেস সাজানো হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও মামলায় বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে। শুধু শেখ হাসিনা নন, তাঁর ২ শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও আনা হয়েছে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে হাসিনা এবং তাঁর ২ প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আসামি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আল-মামুনকেও। আল-মামুনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৬ জুনের মধ্যে। হাসিনা এবং কামালকে গ্রেফতার করা গেল কি না সেই রিপোর্টও তলব করেছে আদালত।
আরও পড়ুন-১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি গ্রেফতার মন্ত্রীর দুই ছেলে
লক্ষণীয়, যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে আদালতে, তার মোদ্দা কথা, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে নির্দেশ এসেছিল হাসিনার কাছ থেকেই। হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সুপরিকল্পিতভাবেই। এই মামলার সাক্ষী হিসেবে হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে ৮১ জনের। সবচেয়ে তাৎপর্যর্পূর্ণ বিষয় হল, ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছিল হাসিনার নির্দেশেই, সেই ট্রাইবুনালকেই হাসিনার বিরুদ্ধে বিচারের হাতিয়ার করেছে ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে হাসিনার সমর্থনেও কিন্তু আওয়াজ ক্রমশই জোরদার হচ্ছে বাংলাদেশে। নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করেই রাজপথে নিয়মিত মিছিল করছেন আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরা। সেইসঙ্গে জোরদার হচ্ছে ইউনুসের পদত্যাগের দাবিও।