প্রতিবেদন : প্রবল বন্যায় অসমের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। গােটা কাছাড় ও শিলচরের বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। জলে ভাসছে হাসপাতালও। শিলচর শহরের প্রায় সব হাসপাতালই জলমগ্ন। বরাক জেলার কাছাড় ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার পুরোপুরি জলের তলায়। ফলে ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রকাশ্যে রাস্তার উপরেই ক্যানসার আক্রান্তদের দেওয়া হচ্ছে কেমোথেরাপি। এমনকী, ছোটখাটো ও জরুরি অপারেশনও চলছে রাস্তার উপরেই।
আরও পড়ুন-পেট্রোল-ডিজেল ও বিমানের জ্বালানিতে রফতানি কর আরোপ করল মোদি সরকার
কাছাড় ক্যান্সার হসপিটালের এক আধিকারিক দর্শনা আর জানিয়েছেন, যেসব এলাকায় রাস্তাঘাটে জল জমেনি বা জলের পরিমাণ খুবই কম সেখানে রাস্তার উপরেই চলছে চিকিৎসা। ক্যানসার আক্রান্তদের কেমোথেরাপি দেওয়া এমনকী, কিছু গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনও করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির কারণে অপারেশনের সংখ্যা অনেকটাই কমানো হয়েছে। অপারেশন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল নাইট্রাস গ্যাস। কিন্তু হাসপাতালে সেই গ্যাসের অভাব দেখা দেওয়ায় জরুরি অপারেশনও আটকে যাচ্ছে। অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য নৌকার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-আয়কর দফতরের প্রেমপত্র পেয়েছি, শ্লেষ পাওয়ারের
রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে বন্যাদুর্গতদের পাশে না থেকে মহারাষ্ট্রে সরকার ফেলার অভিযানে ব্যস্ত খোদ মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের অন্য বিজেপি নেতারা৷ তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশায় কাটাচ্ছেন, অথচ পাঁচতারা হোটেলে মহার্ঘ্য খাদ্য–পানীয় দিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত ছিল রাজ্য প্রশাসন৷ রাজ্যের প্রায় সব ত্রাণশিবির থেকেই খাদ্য, পানীয় না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দুর্গতরা। প্রবল বন্যা ও ধসের কারণে এখনও পর্যন্ত অসমে ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকজনের এখনও খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার এ খবর লেখা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র, কপিলি বেকি, বরাক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে।