প্রতিবেদন : লখিমপুরের স্মৃতি উসকে ছত্তিশগড়ের যশপুরে বেপরোয়া গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ছ’জনের। আহত ১৮ জন। এদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
ছত্তিশগড়ের যশপুরে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে ফেরার পথে একটি দ্রুতগামী গাড়ি ধাক্কা মারে পদযাত্রায়। বস্তুত, শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই মানুষকে পিষে চলে যায় দ্রুতগামী গাড়িটি। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ছ’জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। জখম কমপক্ষে ১৮ জন। ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আচমকা যেভাবে গাড়িটি পিছন থেকে এসে মারে, কেউ কিছু বুঝে উঠতেই পারেননি। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য! তবে গাড়িটি বেশি দূর পালাতে পারেনি। ততক্ষণে রাস্তায় লুটিয়ে একের পর এক রক্তাক্ত দেহ। কেউ নিহত। কেউ জখম হয়ে আর্তনাদ করছেন।
জানা গিয়েছে, ঘাতক গাড়িতে ছিল শিশুপাল শাহ ও বিশ্বকর্মা শাহ। দুজনেই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। যাচ্ছিল ছত্তিশগড় দিয়ে।
আরও পড়ুন : ব্যতিক্রমী বিসর্জনের ট্রায়াল পুরসভার
এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যে গাড়িটি ধাক্কা মারে তাতে গাঁজা ভরতি ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পাঠালগাঁওয়ের এসডিওপি অবশ্য জানান, বিষয়টি এখনও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে প্রায় একইরকমের একটি ঘটনা ঘটেছিল। গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন বিজেপি নেতার গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় চার কৃষকের। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। চলে গণপিটুনিও। সেই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মাঝে পড়ে প্রাণ হারান আরও ৪ জন। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় গোটা দেশে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রশাসনের বাধা উড়িয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সাংসদ। পরে যান অন্য বিরোধী নেতারাও। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র মনু। অনেক টালবাহানার পর আদালতের চাপে তাঁকে গ্রেফতার করেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ।