উত্তরের বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে।

Must read

সোমবার উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে মৃত ২৩ জনের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি প্রতি পরিবারের একজনকে হোম গার্ডের চাকরির কথাও বলেন তিনি। তিনি বলেন, ”আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের। শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। ভুটান অসম থেকে জল ঢুকছে। ভুটানের জলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরাকাটা, মিরিক। এখনও যাঁরা সেখানে আতকে আছেন তাঁদের ফিরিয়ে আনতে ৪৫টি ভলভো বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের।”

আরও পড়ুন-”দক্ষতা এবং পারদর্শিতার সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে দুর্গোৎসব”, ধন্যবাদজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি জানান এদিন প্রথমে হাসি মারা হয়ে তারপর নাগরাকাটার যতদূর পর্যন্ত এগোনো যায় তিনি যাবেন। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি মিরিক যাবেন বলেও জানিয়েছেন। দার্জিলিঙের বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিরিক ও নাগরাকাটা। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুও সেখান থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করবেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলার।

শনিবার রাত থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং কালিম্পং মিরিকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন।রাজ্য সরকারের কাছে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর হিসাব রয়েছে, জানিয়েছেন মমতা। তার মধ্যে ১৮ জন মিরিক-কালিম্পঙে এবং নাগরাকাটায় আরও পাঁচ জন। দুর্যোগের কারণে উত্তরে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ ৫০০ পর্যটকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তার জন্য উত্তরবঙ্গ পরিবহন নিগমের বাস এবং ৪৫ টি ভলভো বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার এর একজন নিখোঁজ রয়েছেন বাকি সকলকেই উদ্ধার করা গেছে। ২৫০ জনকে শিলিগুড়িতে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। হোটেলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে আটকে পড়া পর্যটকদের থেকে কোনওরকম টাকা নেওয়া না হয়। এই খরচ পুরোটাই বহন করবে সরকার।

আরও পড়ুন-জয়পুরের হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত ৬ রোগী

মৃতদের পরিবারকে অর্থ-চাকরি সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘টাকা কখনও জীবনের বিকল্প হতে পারে না। এটা আমাদের তরফ থেকে সামান্য সামাজিক কর্তব্য। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। পরিবারের এক জনকে দেওয়া হবে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি। যাতে তাঁদের কাউকে কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না-হয়।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পর্যটকরা নিরাপদেই রয়েছেন। মিরিক নাগরাকাটায় পুলিশ কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করেছে যাতে কারোর কোনও অসুবিধা না হয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্য সরকার।

Latest article