খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ১ লক্ষ ও আংশিকদের ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে খিদিরপুর বাজারে। খুব কম সময়েই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৩০০ টি দোকান।

Must read

খিদিরপুর (Khidderpore) বাজারে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়েই। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন ও পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে নতুন মার্কেট করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন আপাতত অন্য জায়গায় সরছে এই বাজার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে সার্ভে শুরু করা হয়নি। তদন্ত হবেই। কীভাবে আগুন লাগল, কটা দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হল, কার কার নামে দোকান ছিল সবটাই দেখা হবে।”

আরও পড়ুন-দেশজুড়ে মৃত্যু মিছিল নিয়ে বিধানসভা থেকে কেন্দ্রের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “সিলিন্ডারগুলোকে মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। জীবনও তো চলে যেতে পারত। এসি মেশিনও দেখতে হবে। মার্কেট এখন সরাতে হবে। নতুন হবে। একটা জায়গা আমরা বেছে রেখেছিলাম, অন্য একটা কাজে, সেখানেই আপাতত বাজার সরানো হোক। সেখানে বাইরের কেউ আসবে না, এখানকার ব্যবসায়ীরাই আপাতত ব্যবসা করবেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তার আগে সার্ভে রিপোর্ট চাই। কাদের পুরো দোকান জ্বলে গিয়েছে, কাদের অর্ধেক সেটা দেখতে হবে। যাদের পুরো দোকান জ্বলে গিয়েছে, তাঁদের দোকান বানিয়ে দেওয়া হবে, ও ব্যবসার কাচামাল কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাদের অর্ধেক দোকান পুড়েছে, তাদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন-”২০২৬ সালে আপনারা রাজনীতিতে শূন্য হয়ে যাবেন”, বিধানসভা থেকে বিরোধীদের নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আগুন যা লেগেছে তোমাদের নিজেদের গাফিলতির জন্য। এরপরেও সরকার নিজেদের খরচে মার্কেট বানিয়ে দেবে। সাময়িক ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তদন্ত হবে সম্পূর্ণ বিষয়টির। খুব তাড়াতাড়ি দোকান তৈরী করে দেওয়া হবে। আমরা সমব্যাথী। পাশে আমরা একটা জায়গা দেখেছি। ব্যবসায়ীদের কোন টাকা দিতে হবে না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বাজার তৈরি করে দেওয়া হবে। সেখানে জল এবং অগ্নিনির্বাপকের ব্যবস্থা থাকবে।”

আরও পড়ুন-বেণীনন্দন স্ট্রিটে খুনের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত

প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে খিদিরপুর বাজারে। খুব কম সময়েই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রায় ১৩০০ টি দোকান। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। সোমবার ভোরেও কয়েকটি ‘পকেটে’ আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে। সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদারকি করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

 

Latest article