পূর্ণমকে ফেরাতে পূর্ণ আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, স্ত্রীকে ফোনে পাশে থাকার বার্তা

এর আগে এদিন সকালেই শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পূর্ণমের স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

Must read

প্রতিবেদন : পাক সেনার হাতে বন্দি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে শিগগিরই ফেরানো হবে। রবিবার দুপুরে পূর্ণমের স্ত্রী রজনী সাউকে ফোন করে এই আশ্বাস দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর ও তাঁদের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে এদিন সকালেই শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পূর্ণমের স্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তারপরই এদিন দুপুরে তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন রজনী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন তাতে তিনি ভরসা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনা হবে। এর জন্য তিনিও উদ্যোগ নেবেন। আগামী কালই তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কথা বলবেন। এছাড়াও তিনি অন্তঃসত্ত্বা রজনীর কোনও চিকিৎসা লাগবে কিনা তারও খোঁজ নেন। পূর্ণমের বাবা-মা-সহ পরিবারের বাকিদেরও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারের পাশে আছে। খুব তাড়াতাড়ি বন্দি পূর্ণমকে ফিরিয়ে আনা হবে। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনেকটাই আশ্বস্ত রজনী ও তাঁর পরিবার।
এর আগে এদিন সকালে পাক সেনার হাতে বন্দি বাংলার বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে ফেরানো নিয়ে কেন্দ্র কী করছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, পূর্ণমকে ফেরাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জানাতে হবে কেন্দ্রকে। তাঁর সাফ কথা, কোনও ভাবনা বা পরিকল্পনার কথা আর শোনা হবে না। এবার কাজ করতে হবে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও  জঙ্গি হামলার  ঠিক পরদিন সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় ভুলবশত পাক এলাকায় ঢুকে পড়ায় তাঁকে বন্দি করে পাক সেনা। হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম সাউ পোস্টিং ছিলেন পাঠানকোটে। তারপর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ কাটতে চলল। এখনও খোঁজ নেই পূর্ণমের। এই অবস্থায় পূর্ণমকে ফেরাতে তাঁর স্ত্রী রজনী বারবার বিএসএফ ও কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। মৌখিক আশ্বাসে ভরসা না পেয়ে পাঠানকোটেও যান রজনী। কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। পূর্ণমকে ফেরাতে  বিএসএফের পূর্বাঞ্চলের কর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মাঝে অপারেশন সিঁদুর শুরু হয়ে যায়। শনিবার সংঘর্ষবিরতি হতেই অবিলম্বে বাংলার জওয়ানকে ফেরানোর জন্য কেন্দ্রকে অ্যাকশন নেওয়ার জোরালো দাবি তুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Latest article