উদ্বোধন হতে বাকি আর মাত্র ক’দিন। চলছে চুড়ান্ত পর্যায়ের ব্যস্ততা। ১৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টেয় বিধাননগর বইমেলা প্রাঙ্গণে উদ্বোধন হবে ৪৭তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের ব্রিটিশ উপ-হাইকমিশনার মিঃ অ্যালেক্স এলিস সিএমজি, ভারতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাডাম অ্যালিসন ব্যারেট এমবিই, সাহিত্যিক বাণী বসু। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী, কবি, সাহিত্যিক ও গুণিজনেরা। প্রথম দিনেই পাঠকদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ খুলে দেওয়া হবে। শুরু হবে বেচাকেনা।
আরও পড়ুন-আজ রাত পোহালেই মকরস্নান, নয়া রেকর্ড
এবারের বইমেলার বিশেষ উল্লেখ্যনীয় বিষয় হল, লিটল ম্যাগাজিন সহ ছোট, মাঝারি ও বড় প্রকাশকদের স্টল ও টেবিল সব মিলিয়ে প্রায় ১০০০-এর মতো। সিনিয়র সিটিজেন দিবস ‘চিরতরুণ’ উদযাপিত হবে ২৪ জানুয়ারি। লেখক, প্রকাশক ও পাঠককে নিয়ে থাকবে আলোচনা সভা। ৯টি গেট, যার প্রতিটি দিয়েই মেলায় ঢোকা ও বেরোনো যাবে। একটি গেট হচ্ছে লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের আদলে। একটি গেট বেথুন স্কুলের ১৭৫ বছর উপলক্ষে সেই স্কুলের আদলে। আছে বিশ্ববাংলা গেট এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও লোরকার ১২৫তম জন্মবর্ষ উদযাপনে তাঁদের স্মরণে গেট। সমরেশ মজুমদার এবং এ এস বায়াটের নামে হচ্ছে বইমেলার দুটি হল। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন সন্দীপ দত্তের নামে। ছোটদের প্যাভিলিয়ন হবে ষষ্ঠীপদ চট্টোপ্যাধ্যায়ের পাণ্ডব গোয়েন্দাদের নিয়ে। থাকছে এইচ ডি এফ সি আর্গো প্রেস কর্নার। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষ স্মরণে তাঁদের নামে থাকছে দুটি মুক্তমঞ্চ।
আরও পড়ুন-রাজ্যপাল কি সরকারের বাইরে? বোসের আলটপকা মন্তব্য, ধুইয়ে দিলেন ব্রাত্য বসু
পরিবহণ দপ্তর দিচ্ছেন অতিরিক্ত বাস পরিষেবা। মূল বাস স্টপেজের তালিকায় থাকছে শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন, পর্ণশ্রী, শকুন্তলা পার্ক, ঠাকুরপুকুর, গড়িয়া, কামালগাজি, টালিগঞ্জ মেট্রো, বারাসত, বালি হল্ট, বারুইপুর, ব্যারাকপুর, যাদবপুর, সাঁতরাগাছি, উল্টোডাঙা, রথতলা, বেলগাছিয়া, ডানকুনি। থাকছে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বিশেষ মেট্রো পরিষেবা। বিধাননগর পুলিশের সঙ্গে আলোচনাক্রমে অটো ভাড়া নির্ধারিত হচ্ছে। বইমেলার হেলথ পার্টনার পিয়ারলেস হসপিটেক্স হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার লিমিটেড। সিইএসসি-র সহায়তায় থাকছে বইমেলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। মেঘবেলা ব্রডব্যান্ড এক্সক্লুসিভ ব্রডব্যান্ড পার্টনার। বইমেলার হসপিটালিটি পার্টনার নোভোটেল হোটেল। সরাসরি ও যৌথভাবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে প্রায় ২০টি দেশ। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য থাকবে সুসজ্জিত সিইএসসি সেন্টার। প্রতিদিন সেখানে থাকবে লটারি। ড. রমাপ্রসাদ গোয়েঙ্কা সিইএসসি সৃষ্টি সম্মান ২০২৪ প্রদান করা হবে বাণী বসুকে।
আরও পড়ুন-তথ্য দিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন অভিষেক
বইমেলা সরাসরি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে গিল্ড-এর সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যাঁরা আসতে পারবেন না, তাঁরা ঘরে বসে দেখতে পারবেন বইমেলার অনুষ্ঠান। কলকাতা বইমেলার এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল পার্টনার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। এই প্রথম বইমেলায় যাঁরা আসবেন, তাঁরা খুব সহজেই কিউ আর কোড স্ক্যান করে মেলার ডিজিটাল ম্যাপ এবং অংশগ্রহণকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। মেলার সব গেটে থাকবে এই কিউ আর কোড। বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হবে ২৬-২৮ জানুয়ারি। বইমেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।