প্রতিবেদন : আগামিকাল বুধবার মহালয়ার দিন রীতিমাফিক জাগোবাংলা (Jago Bangla) উৎসব সংখ্যার প্রকাশ। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ‘জাগোবাংলা’র উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। বুধবার দুপুরে নজরুল মঞ্চে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হবে এই বাৎসরিক অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। থাকবেন মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক-সহ দলের কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষ। থাকবেন লেখকেরাও। যাঁদের লেখা প্রবন্ধ-গল্প-উপন্যাস-ছোটগল্প-কবিতা জায়গা পেয়েছে এবারের উৎসব সংখ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন- দক্ষিণ ভাসিয়েছে ডিভিসি, উত্তর ডোবাল নেপাল
সারাবছর ধরে প্রতিদিন রাজনীতির খবর-সহ একাধিক দিকের খবর পরিবেশন করে ‘জাগোবাংলা’ পত্রিকা। বছরের এই দিনটা সকলে মুখিয়ে থাকেন ‘জাগোবাংলা’ (Jago Bangla) উৎসব সংখ্যায় কী লেখা প্রকাশিত হল, কারা লিখলেন— সেসব জানার জন্য। আর অবশ্যই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন তা শোনার জন্য। এই অনুষ্ঠানের পর প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো উদ্বোধনে বেরিয়ে পড়বেন। পিতৃপক্ষের অবসানে মাতৃপক্ষের শুরুতেই সূচনা হবে কলকাতা তথা বাংলার সেরা উৎসবের।
সারা বছর বাংলার মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন দুর্গোৎসবের ক’টা দিনের জন্য। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে যেমন আবেগ তেমনই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা হাসি ফোটায় বহুস্তরীয় মানুষকে। মৃৎশিল্পী থেকে ঢাকি, মণ্ডপসজ্জা থেকে আলোকসজ্জা— সব কিছুতেই জড়িয়ে আছে মানুষের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দিকটি। যাকে উপেক্ষা করা কার্যত অসম্ভব। এই সময় বাংলার জিডিপি দেশের জিডিপিকেও হার মানায়। দুর্গোৎসবের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আয়ে জেগে ওঠেন বাংলার মানুষ। একদিকে যেমন উৎসবের আবহ আবার একইসঙ্গে থাকে পেটের ভাত জোগাড়ের নিরাপদ খোঁজ।