প্রতিবেদন : পিতৃপক্ষের অবসান হতেই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারও শহরের ২৫টা ও জেলার ৪০০টি পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃতীয়ার দিনেও একগুচ্ছ পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চক্রবেড়িয়ার এক পুজো মণ্ডপে গিয়ে ডান্ডিয়া নাচে মাতলেন মুখ্যমন্ত্রী। পা মেলালেন ছোট ছোট নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে। সকলকে জানালেন অভিনন্দন। শনিবার বিকেল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয় শহর জুড়ে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি শিশু বিভাগেই জন্ম নিল টেস্টটিউব বেবি, বিনা খরচে হল পুরো প্রক্রিয়া
তবে এই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই পুজোর উদ্বোধন সারেন তিনি। মুক্তদলের পাশাপাশি বেশ কিছু মণ্ডপে গিয়ে বস্ত্র বিতরণও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চেতলার একাধিক পুজো-সহ ৭৬ পল্লি, পদ্মপুকুর, বকুলবাগান, প্রিয়নাথ মল্লিক, ৬৪ পল্লি, ফরওয়ার্ড ক্লাব-সহ একাধিক পুজোর ফিতে কাটলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের পরেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ভিড় জমতে শুরু করেছে। চতুর্থী থেকে পুজো মণ্ডপগুলিতে উপচে পড়া ভিড় হবে ধরে নিয়েই প্রশাসন তৈরি হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা মণ্ডপে হাজির থাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তেমনই পুজো উদ্যোক্তাদের পোশাকের প্রশংসা করেছেন। বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ বিগত বছরের তুলনায় এবারে তাদের থিমে আরও চমক এনেছে। এই বিষয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। প্রায় সব অনুষ্ঠানেই উৎসবের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় যে বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সে-কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের তরফে ত্রাণের ব্যবস্থা হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের সাহায্য দেওয়া হবে। যে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে, তাঁদের সকলকে বিমার টাকা দেওয়া হবে।