শনিবার নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। আয়োজকদের অব্যবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে লিওনেল মেসির (Messi_Mamata Banerjee) কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Messi_Mamata Banerjee)।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সল্টলেক স্টেডিয়ামে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল তাতে আমি বিচলিত ও বিস্মিত। হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমী এবং ভক্ত যাঁরা এক ঝলক তাঁদের প্রিয় ফুটবল তারকা লিওনেল মেসিকে দেখার জন্য যাচ্ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমিও যাচ্ছিলাম।
এরপরই দুঃখপ্রকাশ করে তিনি জানান, লিওনেল মেসির কাছে আমি গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, সেই সঙ্গে অগণিত ক্রীড়াপ্রেমী ও মেসির ভক্তদের কাছে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
এই ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি। যে কমিটিতে সদস্য থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দফতরের সচিব। এই কমিটি গোটা ঘটনার তদন্ত করবে, দায় নিশ্চিত করবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রতিবিধান তৈরি করবে।
আরও পড়ুন- ভাঙলো চেয়ার, পড়ল বোতল! বিরক্ত মেসি মাঠ ছাড়তেই বিশৃঙ্খলা যুবভারতীতে
যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান
* আয়োজকদের তরফে সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনা ছিল। এটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারের এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।.
* সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
* এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।
* স্বাভাবিকভাবেই, রাজ্য সরকার অনুষ্ঠানটির জন্য অনুমতি দেবে। যদি তারা অনুমতি না দেয়, তাহলে সেই বাংলা-বিরোধীরাই সরকারের ওপর দোষ চাপাবে।
* মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বিবৃতিটি পোস্ট করেছেন।
* এটি একটি ফিফা-স্বীকৃত স্টেডিয়াম। আজ পর্যন্ত এখানে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং কোনো সমস্যাই হয়নি।
* তবে, আজ আমরা দেখলাম বিজেপি-সমর্থিত গুন্ডারা মাঠে এসে উস্কানি দেওয়ার এবং অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, তাদের হাতে গেরুয়া পতাকা ছিল এবং তারা স্লোগান দিচ্ছিল।
* বাংলা-বিরোধী বিজেপি বাংলাকে বদনাম করার জন্য যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে।
* পুলিশের উচিত তদন্ত করে এই ধরনের সমাজবিরোধীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা।
* নবান্ন অভিযান হোক বা অন্য কোনো ঘটনা—বিজেপির কুখ্যাত অপরাধীরা রাজ্যে সব সময়ই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে।

