সংবাদদাতা, নিমতৌড়ি : কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়া শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই রাজ্য জুড়ে বিশেষত গ্রামবাংলায় তাঁর উপর মানুষের আস্থা-ভরসা আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন তমলুকের নিমতৌড়িতে প্রশাসনিক সভা করতে। জেলাশাসকের কার্যালয় লাগোয়া ময়দানে এই সভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের নানা পরিষেবা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-আসন নেই, প্রার্থী আছে, অসমের তালিকায় অজস্র ভুল, বিপাকে বিজেপি
পাশাপাশি ৪৭৪ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকার ১৪৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। ৯৬০ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার ৩৪৬টি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। প্রায় পাঁচশোটি প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম তমলুক পুরসভার ১০৬ কোটি টাকার পরিস্রুত পানীয় জলপ্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। তমলুক থেকে নিমতৌড়িতে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা পরিষদ-সহ একাধিক দফতর উঠে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রথমবার এখানে সভা করতে আসছেন। ইতিমধ্যে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকবার ট্রায়ালও দিয়েচে হেলিকপ্টার। সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তারা মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে।
আরও পড়ুন-টেলিমেডিসিন পরিষেবা এবার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও
এছাড়াও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করার পর সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এই জেলার একটা বড় অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। সমুদ্রসাথী প্রকল্প ও ১০০ দিনের টাকা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জেলার বহু জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভা হয়েছে। তাই মৎস্যজীবীদের বিশেষ নজর রয়েছে এই সভার দিকে।