শনিবার রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্র- মানিকতলা, রায়গঞ্জ, বাগদা এবং রানাঘাট দক্ষিণে উপনির্বাচনে (byelection) বিপুল ভোটে জয়ী রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীরা। এই জয় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এদিন বলেন, ”একুশের নির্বাচনে বিজেপি যে তিনটি আসনে জয়ী হয়েছিল সেগুলিতেও মানুষ আমাদের জয়ী করেছে। আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এই জয় মা-মাটি-মানুষের। অপপ্রচার এবং কুৎসার জবাব দিয়েছেন মানুষ।” মুকুটমণির জয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও-ও তাই, বিজেপির এমএলএ ছিল। ও তৃণমূলে জয়েন করার পর টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু অপপ্রচার, কুৎসা নির্বাচন কমিশনের নানা চক্রান্ত তো ছিলই, সে জন্য হয়তো ও হেরে গিয়েছিল। সে বিজেপির এমএলএ ছিল, এবার হয়েছে তৃণমূলের। সুতরাং, বিজেপির সিটে তৃণমূল জিতেছে। গাঁইঘাটাও তাই, ওখানে বিশ্বজিৎ হেরে গেছিল, তবে ও এবার দাঁড়ায়নি, তাই মমতাবালার মেয়ে মধুপর্ণাকে দাঁড় করানো হয়। ও খুব ভালো ফাইট দিয়েছে। এই জয় মানুষের জয়। নতুন করে সমাজ সংস্কার, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তি, সম্প্রীতি সংহতি নিয়ে আগামী দিনে কাজ করব। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জয় উৎসর্গ করব একুশে জুলাই। অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও মানুষ ভোট দিচ্ছে। এটা মানুষের কৃতিত্ব। তিনি জানিয়ে দেন এই জয় ২১ জুলাইয়ের শহিদদের উৎসর্গ করা হবে।”
আরও পড়ুন-বন্ধ হল প্রথম পাক ‘ব্রেস্ট মিল্ক ব্যাঙ্ক’
বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা জানতাম জিতবে, কিন্তু বিজেপি কংগ্রেসকে টাকা দিয়ে ভোট ভাগাভাগি করে সিটটা হারিয়েছিল। আমি বলি তুমি দাঁড়াও, তুমি এখানে এমএলএ ছিলে, তোমায় জিততে হবে। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। মানুষ তাঁকে জিতিয়েছেন, তাই আমি কৃতজ্ঞ।”
আরও পড়ুন-ফিকে হল গেরুয়া ঝড়, বদ্রীনাথে পরাজিত বিজেপি
আজ,শনিবার মুম্বই থেকে আম্বানিদের বিয়েতে অংশগ্রহণ করে ফিরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দমদম বিমানবন্দরে নেমেই দেশ তথা রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরব হন তিনি। স্পষ্ট করেই তিনি বলেন, ‘’অল ইন্ডিয়ার ট্রেন্ডও বিজেপির বিরুদ্ধে’’। উল্লেখ্য, সাতটি রাজ্যের ১৩টি বিধানসভায় উপনির্বাচনের মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। মাত্র দু’টি আসনে জয়ী বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এই ফলাফল নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ‘এজেন্সি রাজনীতি’ প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একদিকে এজেন্সি, একদিকে বিজেপি। সবটাই রুখে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। আমাদের কাজ সমাজসেবা করে। এর থেকে কেউ সরে আসলে তাঁকে বলব তিনি নিজেরটা বুঝে নিন। আমাদের মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে হবে, তাঁদের পাশে থাকতে হবে। সারা ভারতবর্ষেও আমি শুনেছি বিজেপি পর্যদুস্ত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, ”শরদ পাওয়ার অনেক বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ । মুম্বইয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব না, এটা ভাবাই ভুুল। উদ্ধব এবং অখিলেশ আমার পরিবারের সদস্যের মতো। নির্বাচনের পরে আমার অভিনন্দন জানানোর সুযোগ হল। মুকেশজি আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছেন। অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অমিতাভজির সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি আবার তাঁকে আসতে বলেছি। শাবানাজি ও জাভেদ আখতারের সঙ্গে দেখা হল, তাঁরা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসবেন। শাহরুখের সঙ্গে দেখা হয়নি। সচিনের সঙ্গে দেখা হয়েছে। লালু-তেজস্বী, বসুন্ধরার সঙ্গেও দেখা হল। তিনি আমার পুরনো বন্ধু, কারণ আমরা সহকর্মী ছিলাম।”yelection,