সুমন তালুকদার, বসিরহাট: বুধবার বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার প্রথম বছর সংখ্যালঘু সম্মেলনের ভিড়ে ঠাসা মানুষের প্রতি রাজ্য তৃণমূল সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের (Jay Prakash Majumdar) সোজাসাপটা হুঁশিয়ারি, ‘দুধ-কলা দিয়ে কেউ বাড়িতে কালসাপ পোষে না। সংখ্যালঘুদের সামনে এখন কালসাপ হল আইএসএফ। কিন্তু তাকেই দুধ আর কলা সাপ্লাই করছে আর পুষছে বিজেপি। বিজেপির টাকায় চলছে আইএসএফ। ওদের থেকে সাবধান থাকবেন।’
বসিরহাট রবীন্দ্রভবনের সম্মেলনে জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ নুসরত জাহান, বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা।
আরও পড়ুন: ঘোষণা BGBS-এর দিন, কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিয়ে কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?
জয়প্রকাশ মজুমদারের আরও বক্তব্য, ‘আইএসএফ এ-রাজ্যে ধর্ম নিয়ে ছলনা করছে। ধর্মকে সামনে রেখে বিজেপি আর আইএসএফ এই দুটি দল রাজনীতি করছে। এর থেকেই বোঝা যায় দুটো দলই এক। এ- রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম-সহ সব ধর্মের মানুষই শান্তিতে সহাবস্থান করেন। কিন্তু আইএসএফ রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই জন্য সংখ্যলঘু বন্ধুদের সাবধান করছি। এই রাজ্যে ঘৃণ্য রাজনীতি করতে দেব না। তবে এর কোনও প্রভাবই রাজ্য-রাজনীতি বা নির্বাচনে পড়বে না। কারণ সংখ্যালঘু-সহ সব ধর্মের মানুষই জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাতার মতো তাঁদের মাথার উপর আছেন। শুধু তাই নয়, সংখ্যালঘুদের জন্য উন্নয়ন করছেন, তাঁদের সামাজিক স্বীকৃতির জন্য লাগাতার কাজ করে চলেছেন তিনি। বিজেপি এলে সংখ্যালঘুদের এই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে ছাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ছাড়িয়ে উত্তরপ্রদেশে গেলেই তার নিদর্শন মিলবে। সেখানে বুলডোজার চলে। তবে এ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা বুঝে গিয়েছেন, তাঁদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।’ হাজি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাজ্যে আইএসএফের কোনও অস্তিত্বই নেই। হাতে গোনা কয়েকজন লোক নিয়ে ওরা রাজনীতি করছে। ওদের পাশে মানুষ নেই। আগামী নির্বাচনে আইএসএফ কোনও দাগই ফেলতে পারবে না।’