স্বামীজির আদর্শের পথে দিশা দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, যুবদিবস পালনে নেতৃত্ব

স্বামী বিবেকানন্দের নীতি ও আদর্শে যুব সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : স্বামী বিবেকানন্দের নীতি ও আদর্শে যুব সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামীজির জন্মদিনে সেই কথাই আরও একবার উঠে এল সবার গলায়। আজ, রবিবার জাতীয় যুবদিবস। ১৯৮৫ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে স্বামীজির জন্মদিবস জাতীয় যুবদিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বেলুড় মঠ থেকে স্বামীজির বাড়ি সিমলা স্ট্রিটে ছিল ভক্তদের ভিড়। স্বামীজীর জন্মদিবসে সিমলা স্ট্রিটে তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ডাঃ শশী পাঁজা-সহ অন্যরা।

আরও পড়ুন-রাজ্যজুড়ে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম আবির্ভাব দিবস পালন

অরূপ বিশ্বাস বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুর পরিবর্তন হয়। কিন্তু আজও স্বামীজির বাণী ও আদর্শ সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তাই আজ তাঁর জন্মদিনে তাঁর কথা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা। আজও স্বামীজির কথা ও বাণী আমাদের জীবনের পরম সম্পদ। ডাঃ শশী পাঁজা যুবসমাজকে স্বামীজির আদর্শ মেনে চলার পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে তাঁরা মনে করিয়ে দেন তাঁর আদর্শেই যুব সমাজকে সঠিক দিশা দেখিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি সিমলা স্ট্রিটের এই বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সিমলেপাড়ার ৩ নং গৌরমোহন মুখার্জি স্ট্রিট তাঁর পৈতৃক বাসভবন এখন হয়ে উঠেছে জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রতিদিনই এখানে থাকে দেশ-বিদেশের ভক্তদের আনাগোনা। স্বামীজির জন্মদিনে এদিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে অভিষেক বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস গোটা দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে এক শপথ গ্রহণের দিন। স্বামীজির দেশগঠনের বার্তাও স্মরণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, স্বামীজি এক সময় বলেছিলেন, ওঠো, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না। আজ আমরা সম্মান জানাই স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি, যাঁর সাহসিকতা, সহানুভূতি, একতা ও সৌভ্রাতৃত্বের পাঠ যুগের পর যুগ ধরে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দর জন্মবার্ষিকীতে সম্প্রীতি ও শক্তির ভিত্তিতে এক রাষ্ট্র গঠনের স্বামীজির অঙ্গীকারকে তুলে ধরতে চাই। আশা রাখি, তাঁর দেখানো পথ যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করবে প্রতিকূলতাকে জয় করতে এবং মহত্ত্বের পথে এগিয়ে চলতে।

Latest article