লন্ডনের (London) পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের বিমানে উড়ে যাচ্ছেন তিনি। হিথরো বিমানবন্দর লাগোয়া সাব-স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বিশ্ব জুড়ে দেড় হাজারের বেশি বিমান বাতিল করা হয়। যার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান সূচিতেও পরিবর্তন করা হয়। রবিবার সকালে লন্ডন পৌঁছে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি নেই। পূর্বসূচি অনুযায়ী সোমবার ভারতীয় হাইকমিশনের আমন্ত্রণ। পরের দিন রয়েছে ব্রিটিশ বণিকসভার সঙ্গে রাজ্যের শিল্পপতিদের নিয়ে লগ্নিবৈঠক। ২৭ তারিখ অক্সফোর্ডে বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই লন্ডন-সফরকে কেন্দ্র করে খুবই উৎসাহিত প্রবাসী ভারতীয় এবং বাঙালিরা। দীর্ঘদিন বাদে লন্ডন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বদলে যাওয়া বাংলার কথা, বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরবেন। বিশেষ করে ২০১১-র পর থেকে বাংলায় নারীর ক্ষমতায়ন ও তাঁদের সামনের সারিতে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, উঠে আসবে সে-কথাও। বিশেষ করে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প বিশ্বদরবারে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। এই মডেল অনুসরণ করছে অন্য রাজ্যগুলিও। স্বাভাবিকভাবেই লন্ডনের মাটিতে এই প্রসঙ্গও উঠে আসবে।
আরও পড়ুন-কু-কথাতেই আছে দিলীপ পাল্টা প্রতিবাদ তৃণমূলের
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন শিল্পপ্রতিনিধি দল। বাংলা কেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যতম সেরা গন্তব্য হয়ে উঠেছে সে-কথাও শিল্পপতিরা বলবেন সেখানে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন একঝাঁক সাংবাদিক ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। থাকছেন মুখ্যসচিব-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। সফল ও বৃহত্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই লন্ডন সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বাংলার শিল্প মানচিত্রে অগ্রগতির নিরিখে। এর আগে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাপান, পোল্যান্ড-সহ আরও বেশ কিছু দেশ থেকে আমন্ত্রণ রয়েছে। সময় সুযোগমতো যাবেন।