নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কমভেনশন সেন্টারের মতো শিলিগুড়িতেও হতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টার। সোমবার, শিলিগুড়িতে দীনবন্ধু মঞ্চে বিজনেস সামিট-এ এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এছাড়া, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, স্কাইওয়াক-সহ বিভিন্ন শিল্পোন্নয়নে রাজ্যের বরাদ্দর কথা জানান মমতা।
আরও পড়ুন-দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, দুই শাবকের জন্ম তুষার চিতার
বাংলার উন্নয়নে উত্তরের জেলায় শিল্পে জোয়ার আনতে এদিন শিলিগুড়িতে বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়। যেখানে ৮টি জেলা থেকে একাধিক শিল্পপতি এবং উদ্যোগপতিরা উপস্থিত আছেন এবং উত্তরবঙ্গের শিল্পায়নে বিকাশ ঘটানোর প্রচেষ্টায় চলছে বৈঠক। এদিনের সামিটে ইথানল কারখানা, মাখনা, ভুট্টা প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন, চা শিল্পের আরও সম্প্রসারণ, শিল্পতালুক সহ কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরায়নের বিপরীতে ১০ একর জমিতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বিভিন্ন সম্মেলন, প্রদর্শনী, এবং অন্যান্য বড় আকারের অনুষ্ঠানের জন্য বেশ উপযোগী হতে পারে। বিভিন্ন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের অনুষ্ঠান বা ব্যক্তিগত প্রচার করতে পারে। কনভেনশন সেন্টারগুলি সাধারণত কয়েক হাজার অংশগ্রহণকারীর জন্য যথেষ্ট স্থান প্রদান করে। এটি উত্তরায়নকে আরও উন্নত ও আধুনিক করতে সাহায্য করবে। শিল্পস্থাপন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিল্পের জন্য সরকারের নিজস্ব জমি ব্যাঙ্ক রয়েছে। প্রচুর দক্ষ শ্রমিকও রয়েছে। ছোট ছোট শিল্পেও অনেক কর্মসংস্থান হয়। তাই ভারী এবং ক্ষুদ্র দু’ ধরনের শিল্পে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী জুলাইয়েই জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হয়ে যাবে। এজন্য রাজ্যের ব্যয় হয়েছে ৫০১ কোটি টাকা”
আরও পড়ুন-দার্জিলিং চা নিয়ে সমস্যার সমাধান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কমিটি গঠনের দায়িত্ব রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের
এর পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গে গজলডোবা, ভোরের আলো থেকে শুরু করে বেঙ্গল সাফারি হয়েছে। সবটাই উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য ঢেলে সাজিয়েছে আমাদের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বেকার ছেলেমেয়েরা এসব জায়গায় কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। কালিম্পংয়ে ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্টের জন্য শিলিগুড়িতে সিআইআইকে দিয়ে একটি সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান এদিন। উত্তরায়ণে আরও পাঁচ কাঠা জমি রয়েছে। তাতে কালিম্পংয়ে ইমপোর্ট ও এক্সপোর্টকে সহজভাবে করতে ফ্লিপকার্ট কিংবা অ্যামাজনের মতো সেন্টার তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি মুখ্যসচিবকে বুঝে নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।