পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরব মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির অপপ্রচারকে নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিমেষের মধ্যেই রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে 'মিনি সুইৎজারল্যান্ড'।

Must read

ইতিমধ্যেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অধিকাংশই পর্যটক এবং মৃতদের মধ্যে দু’জন বিদেশি এবং দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা আছেন। যদিও কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, সেই নিয়ে সরকারিভাবে কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি। আজ, মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিমেষের মধ্যেই রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’। সূত্রের খবর, এদিন জঙ্গিদের পরনে ছিল খাকি পোশাক, ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রচুর পরিমান বুলেট। হামলার আগে জঙ্গিরা ঘণ্টাখানেক ধরে এলাকা রেকি করে। সব ছকই কষে নিয়েছিল তারা। দুই স্থানীয় বাসিন্দা হামলাকারী তাদের পথ অনেকটাই প্রশস্ত করে দিয়েছিল। ২০১৭ সালে পাকিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় তারা। এবার পর্যটকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুন-অবমাননার আর্জি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

এদিনের এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ”জম্মু ও কাশ্মীরে আজ ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার শিকার সকল পরিবারের প্রতি সমবেদনা। নিহতদের মধ্যে একজন,বিতান অধিকারী, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছি। যদিও এই শোকের মুহূর্তে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়, তবুও আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে আমার সরকার তার মরদেহ কলকাতায় তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অমানবিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের সকল পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।”

 

আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বয়সের নিম্নসীমা পরিবর্তন আরবিআই

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার নিন্দা করে বিজেপিকে দায়ী করেছেন। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “বিজেপির বিভ্রান্তিকর নীতি আর অপপ্রচারই এই হামলার জন্য দায়ী। জম্মু ও কাশ্মীরে আজকের সন্ত্রাসী হামলা কেবল দুর্ভাগ্যজনক এবং ভয়াবহই নয়, বরং এটি ভারত সরকারের জন্য একটি রীতিমত হুমকি। এই একই সরকার দাবি করেছিল যে নোট বাতিলের ফলে কালো টাকা এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান বন্ধ হবে এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আসবে। তবুও, আজকের মর্মান্তিক ঘটনাটি বিজেপি সরকারের সব প্রতিশ্রুতি, নীতির ব্যর্থতার স্পষ্ট স্মারক হিসেবে চিহ্নিত হল। এই মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। এই শোকের সময়ে ঈশ্বর যেন তাদের শক্তি দেন, সেই প্রার্থনা করি। আহত সকলের দ্রুত এবং সম্পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি।”

 

Latest article