ক্ষুদ্রশিল্পে পসার বৃদ্ধি হচ্ছে রাজ্যে বিভিন্ন শীতকালীন মেলার সুবাদে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে, তাতে বিক্রিবাটা বেড়েছে ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পোদ্যোগীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) স্বয়ং মেলাভিত্তিক অর্থনীতির লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা করছেন এবং উদ্যোগী হচ্ছেন রাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে।
আরও পড়ুন- বালিগঞ্জের ফার্ন রোডে বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু বিমা এজেন্টের
শীতকাল জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নানা মেলার আয়োজন করা হয়। বেসরকারি উদ্যোগে মেলার পাশাপাশি রাজ্য সরকারও বিভিন্ন মেলার উদ্যোক্তা। রাজ্যের একাধিক দফতর যোগ দেয় বেসরকারি মেলাতেও। সেখানে যেমন স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও হস্তশিল্পের বিকিকিনি হয়, তেমনই বিভিন্ন খাবারের দোকানেও কেনাকাটা বাড়ে। ছোট ব্যবসায়ীদের হাতে মুনাফা আসে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) তাই বিভিন্ন মেলা সংঘটিত করতে উদ্যোগী হন। আর তাঁর এই উদ্যোগে এবার পাশে দাঁড়াল রাজ্যের ট্রেডারদের সংগঠনগুলির মূল মঞ্চ কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস। অ্যাসোসিয়েশনের কথায়, মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সব ব্যবসায়ী, বিশেষ করে ছোট দোকান মালিক বা কারিগরদের উৎসাহ দিয়েছেন। তার ফলেই গত কয়েকবছরে মেলাকেন্দ্রিক বিক্রিবাটা রাজ্যে বেড়েছে। সুফল পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীরা। শুধু মেলাতেই বিক্রিবাটা বাড়েনি, মেলা থেকে বরাত এসেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও হস্তশিল্পীদের কাছে। দুয়ার খুলে গিয়েছে তাদের হাতের কাজ বিদেশে রফতানিরও। দেশের অর্থনীতিকে আরও জোরালো করতে সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনও।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বড়দিন থেকে জানুয়ারি মাসটা পুরো নানারকম মেলা হয়। গ্রামেগঞ্জে মেলা হয়। পৌষমেলা, পিঠেপুলি মেলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা মেলা, কৃষিমেলাও হয়। গ্রামীণ হস্তশিল্প, অন্যান্য সামগ্রীর বিক্রিবাটা হয়। মেলা থেকেও প্রচুর মানুষের উপার্জন হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধি পায় ব্যবসা। দেখতে ছোট হলেও, একটা দোকানদারের আয় কিন্তু বড়। দেশের অর্থনীতির স্তম্ভ এইসব দোকানদাররা।