।){kind=link}
প্রতিবেদন : হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নাম কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এই রাস্তার নাম হল ‘শৈলেন মান্না সরণি’। বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে ফেরার পথে শৈলেন মান্না সরণির নামফলকের উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে ‘শৈলেন মান্না সরণি’কে সুসজ্জিত করে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিঘা থেকে ফেরার পথে ডুমুরজলা ইনডোর স্টেডিয়ামের উল্টোদিকে একটি অনুষ্ঠানে ফলকের উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালনমন্ত্রী অরূপ রায়, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, গৌতম চৌধুরী, হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, জেলাশাসক পি দীপাপপ্রিয়া, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। এদিন সেখানে সুফল বাংলার তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকটি স্টলেরও উদ্বোধন করেন তিনি। স্টলগুলি ঘুরেও দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নাম এখন থেকে ‘শৈলেন মান্না সরণি’ হল। এই রাস্তার ধারের ফাঁকা জায়গাটিকে কাজে লাগিয়ে পুরো শৈলেন মান্না সরণিকে সুসজ্জিত করে তোলা হবে। সেই উদ্দেশ্যে এখানে একটি ট্রামের বগির মধ্যে লাইব্রেরি, আর একটি বগিতে রেস্তোরাঁ ও বাকি ফাঁকা জায়গা কচিকাঁচাদের খেলার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হবে। এই ব্যাপারে সামগ্রিক রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত কাজগুলি সম্পন্ন করে পুরো এলাকাটির সৌন্দর্যায়ন করা হবে। সেইসঙ্গে এখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিছু স্টলও থাকবে। হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, ‘সবুজ সাথী ক্রীড়াঙ্গনের উল্টো দিকে কোনা এক্সপ্রসেওয়ে থেকে বেলিলিয়াস পার্কের দিকে যাওয়ার লেনের পাশের ফাঁকা অংশতে এগুলি গড়ে তোলা হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। এভাবেই শৈলেন মান্না সরণির সামগ্রিক সৌন্দর্যায়ন করা হবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুদিন আগেই ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নাম কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে করার জন্য হাওড়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী এদিন থেকে প্রায় আড়াই কিমি দীর্ঘ ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের নতুন নাম হল শৈলেন মান্না সরণি।
পূর্ব মেদিনীপুর রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হল কালীমূর্তি ও স্মারকগ্রন্থ। রয়েছেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও অন্য বিশিষ্টরা।
আরও পড়ুন- এসএসসি মামলার শুনানি হবে ১৯ ডিসেম্বর