প্রতিবেদন : বাংলা ও বাঙালিকে অপদস্থ করতে দেশ জুড়ে বিজেপির চক্রান্ত চলছে। বৃহস্পতিবার নিউটাউনের উদ্বোধনি মঞ্চ থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপির রাজ্যে ‘টার্গেট’ করা হচ্ছে বাংলাভাষী শ্রমিকদের। বাংলাদেশি খোঁজার নামে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী শ্রমিকদের আটক ও হেনস্থা করা হচ্ছে কেন? বাংলায় কথা বললেই ‘ডিপোর্ট’ মানব না। হঠাৎ করে বাংলাভাষীদের উপর
এই অত্যাচারের কারণ কী?
আরও পড়ুন-বাংলায় কথা বললেই রোহিঙ্গা! ওরা বাংলাই জানে না, বিজেপির মিথ্যাচার ফাঁস মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চাইলেন তিনি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টও ঠিক একই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে, বিজেপির রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী শ্রমিকদের তীব্র হেনস্থার বিরুদ্ধে মামলায় রাজ্যের উচ্চ আদালত পরবর্তী শুনানির মধ্যে কেন্দ্রকে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ বক্তব্য, বাংলাভাষীদের উপর এহেন অত্যাচার বরদাস্ত করব না আমরা! গতকালের প্রতিবাদ-মিছিল তো শুধু ট্রেলার ছিল। অবিলম্বে এই নির্যাতন বন্ধ না হলে, এই লড়াই নিয়ে আমরা দিল্লি পর্যন্ত যাব। বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপির ষড়যন্ত্রের শেষ দেখেই ছাড়ব!
আরও পড়ুন-ফাঁসির ৩ সাজাপ্রাপ্ত ১১ বছর পর বেকসুর, জয়ন্তী দেব হত্যা-মামলা
দিল্লি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, অসম, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের মতো একের পর এক বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে ধরে ধরে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘টার্গেট’ করছে প্রশাসন। বাংলাদেশি খোঁজার নামে বাংলায় কথা বললেই পাকড়াও করছে বিজেপির পুলিশ। বৈধ ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। চলছে অকথ্য অত্যাচার। ছোট্ট ঘরে পিছমোড়া করে ফেলে রেখে নির্মমভাবে মারধরের সঙ্গে ফোন-টাকাপয়সা ও বৈধ পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া— কিছুই বাকি রাখছে না বিজেপি রাজ্যের পুলিশ। তাঁদের অপরাধ শুধু এটুকুই যে তাঁরা বাঙালি। গতমাসে বৈধ পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্রের পুলিশ। শেষে বাংলার তৃণমূল সরকারকে হস্তক্ষেপ করে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হয়।