চা-শিল্পেও নজর মুখ্যমন্ত্রীর, ডাল, সরষেও আনতে হবে না, দাবি কৃষিমন্ত্রীর

বিশেষত উত্তরবঙ্গের উর্বর মাটি এবং অনুকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে সেখানে বিস্তৃত হারে চাষ হবে সরষে ও ডালের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য।

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : পশ্চিমবঙ্গের কৃষিক্ষেত্রে (agriculture) আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নির্দেশে এবার রাজ্যের কৃষিকে আত্মনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‍‘‘বাংলার কৃষি এখন থেকে বাইরের রাজ্যের উপর নির্ভর করবে না। ডাল থেকে সরষে, খাদ্যশস্যের বড় অংশই উৎপাদিত হবে রাজ্যের মাটিতে।’’

আরও পড়ুন-চাল-গম-আটা সরবরাহের সময়সীমায় পরিবর্তন, রেশন গ্রাহকদের প্রাপ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে জারি নির্দেশিকা

বিশেষত উত্তরবঙ্গের উর্বর মাটি এবং অনুকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে সেখানে বিস্তৃত হারে চাষ হবে সরষে ও ডালের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য। বর্তমানে এই খাদ্যপণ্যগুলির বেশিরভাগই আসে বাইরের রাজ্য থেকে। এই উদ্যোগ সফল হলে, দাম কমবে, রাজ্যের অর্থনীতিতেও আসবে গতি। মুখ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পেও। যদিও বর্তমানে চা-বাগানগুলোর অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। তবুও চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। চায়ের চাহিদা কমে যাওয়ায় যাতে শ্রমিকদের জীবনে কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই জন্য সরকার গড়ে তুলছে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ। চা-বাগান ঘিরে তৈরি হচ্ছে গেস্ট হাউস, পর্যটনকেন্দ্র এবং অন্য পরিকাঠামো। যা আগামী দিনে উত্তরবঙ্গের পর্যটনশিল্পকে নতুন রূপ দেবে এবং চা-শ্রমিকদের জন্য খুলে দেবে নতুন দিগন্ত। আত্মনির্ভর বাংলার পথে এটিও হবে একটি বড় পদক্ষেপ।

Latest article