প্রধানমন্ত্রীকে টেকনিক্যাল স্টাডি শুরুর প্রস্তাব, ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি

গত দেড় বছরে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকে গঙ্গার ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত দেড় বছরে গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ।

Must read

সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : গঙ্গার ভাঙন নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়ে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হলেন। আর এই চিঠির খবরে বিপন্ন মানুষদের মনে খুশির হাওয়া। তাঁদের বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী ঠিক একটা ব্যবস্থা করবেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, এই তিন জেলায় ভাঙন ঠেকাতে রাজ্য ও কেন্দ্রের ‘স্টেক হোল্ডারদের’ নিয়ে দ্রুত একটি ‘টেকনিক্যাল স্টাডি’ শুরু করার। তাতে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার সরকারকেও রাখতে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-পুরস্কৃত সাহসী কন্যাশ্রীরা

গত দেড় বছরে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকে গঙ্গার ভাঙন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। গত দেড় বছরে গৃহহীন কয়েক হাজার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভাঙনের ফলে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের ঐতিহাসিক শহর ধূলিয়ানের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মুখে। ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষকে আপস্ট্রিমে ১২.৫ কিলোমিটার ও ডাউনস্ট্রিমে ৬.৯ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করতে অনুরোধ জানিয়ে লিখেছেন, ‘গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশন’, ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারকে নিয়ে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক যদি যৌথ সমীক্ষা চালায় তাহলে গঙ্গায় পলি জমার সমস্যা এবং বর্ষার মরশুমে ব্যারেজের গেটগুলো কীভাবে খোলা হবে তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে।
২০১৭ থেকে ২১ রাজ্য ৩১টি ভাঙনপ্রবণ এলাকায় ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয় করে প্রতিরোধের কাজ করেছে। গত এক বছরে ১৪ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ব্যয় করেছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। কেন্দ্র সরকারের সদর্থক পদক্ষেপে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের জীবন ও সম্পত্তি বাঁচতে পারে বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।

Latest article