মুখ্যমন্ত্রীর ফোন শোকার্ত পরিবারকে

Must read

প্রতিবেদন : এবার জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ ভারতীয় সেনা ঝন্টু আলি শেখ। শহিদ জওয়ান বাংলার ছেলে। বাড়ি নদীয়ার তেহট্টে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। জঙ্গি নিকেশ অভিযানে নেমেছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে চলছিল সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই। সেই সংঘর্ষেই শহিদ হন নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা ঝন্টু। বাড়িতে খবর পৌঁছতেই শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। গ্রামবাসীরা ভিড় করেছেন এই বাড়িতে। বৃদ্ধ বাবা সবুর শেখ-সহ গোটা পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই তাঁদের। ভিড়ের মাঝে বসে প্রতিবেশীদের কাছে পুত্রহারা বাবা বিলাপ করছেন। বললেন, ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিল ঝন্টু। মার্চ মাসে ফের ডিউটিতে যোগ দিতে চলে যায়। সেই শেষ দেখা। মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হত। কিন্তু ডিউটিতে চাপ থাকায় গত কয়েকদিন ফোন করেও ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। সেই আফসোস ঝরে পড়ছে বৃদ্ধের গলায়। শোকার্ত পরিবারটির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দিয়েছেন পাশে থাকার বার্তা। ঝন্টুর নিহত হওয়ার খবর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।
নদিয়ার তেহট্টের পাথরঘাটায় বাড়ি ঝন্টু আলি শেখের। নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারের তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট ঝন্টু। বড় ভাইও ভারতীয় সেনায় কর্মরত। বছর ছত্রিশের এই যুবক ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬ প্যারাস্যুট, স্পেশাল ফোর্সের সদস্য ছিলেন। ১০ বছর ভারতীয় সেনায় কর্মরত। বর্তমানে আগ্রায় পোস্টেড ছিলেন তিনি। সেখান থেকে অপারেশনের জন্য কাশ্মীরে পাঠানো হয়। ঝন্টুর দুই সন্তান ১২ বছরের পুত্র ও ৮ বছরের কন্যা। হোয়াইট নাইট কোর-এর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে ঝন্টুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা হয়, কর্তব্যের প্রতি অবিচল থাকা ও সাহসের সঙ্গে ঝন্টু যেভাবে লড়েছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন- ভাষণে আসন বাড়াতে গিয়ে আসলে বাড়ছে অপশাসন

Latest article