কুণাল ঘোষ, মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী: যত ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, কুৎসা হবে তত বেশি করে বাংলার উন্নয়ন করব। এটাই এখন পাখির চোখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সফল লন্ডন সফর সেরে প্রতিনিধি দল-সহ শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী। লন্ডন থেকে দুবাই, দুবাই হয়ে কলকাতা। প্রায় ১৮ ঘণ্টার জার্নি। সে-কারণেই চান কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালু হোক দ্রুত। ইতিমধ্যেই সেই অনুরোধ করেছেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে। সপ্তাহের অন্তত দুটো দিন যেন এই সরাসরি উড়ান চালানো হয়।
আরও পড়ুন-ফালাকাটায় মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ
এছাড়াও অক্সফোর্ডের একটি ক্যাম্পাস কলকাতায় করার প্রস্তাবও রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই লক্ষ্য পূরণের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। সঙ্গে বাংলায় শিল্পের প্রসার তো রয়েছেই। লন্ডন থেকে ফেরার পথেই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে যে বাণিজ্য বৈঠকগুলি হয়েছে তার বিষয়গুলি যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে। ঠিক ৬টা ৪৬ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে আসেন। কিন্তু মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে এদিন বিমানবন্দরের বাইরে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল দেখার মতো। তারা রীতিমতো দলীয় পতাকা-ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে নেত্রীকে— বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। লন্ডনের সফল সফর সেরে ফেরার পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাস দেখে নেত্রীও তাঁদের নিরাশ করেননি। খানিকটা এগিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তিনি।
তবে অক্সফোর্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এসবেই আরও বেশি করে সিপিএম ডুবছে। সিপিএমের কাজকর্মের জন্যই মানুষদের শূন্য করে দিয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছে। মানুষ সবই বুঝতে পারছে। তবে ওরা যাই করুক না কেন, আমাদের কোনওদিনই বাংলার উন্নয়নের পথ থেকে সরাতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ -এর বিধানসভা নির্বাচনের পর পুজোর আগে আবার লন্ডন যাব। সব কাজ করব।