বর্ষা বাড়তেই রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি (Dengue)। সংক্রমণ রুখতে নবান্নে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের নিয়ে এই বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, কোথায় কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, কোন জেলায় বাড়ছে প্রভাব, কোন এলাকায় জরুরি নজরদারি দরকার—সবকিছু নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেন তিনি।
রাজ্যের দুই-তিনটি জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে বেশি বলে মুখ্যসচিবের রিপোর্টে উঠে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, শহর ও শহরতলি এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুরসভাগুলিকে বলা হয়েছে, দ্রুত ও নিয়মিতভাবে নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও যাতে জল না জমে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ জমা জলে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে এবং সেখান থেকেই ডেঙ্গির সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন-এসআইআর : তৃণমূলের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি
সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একাধিক জন কলকাতার বাসিন্দা। মুর্শিদাবাদ জেলাকে ডেঙ্গি-প্রবণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্যদফতর। যদিও কলকাতা পুরসভার তরফে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগের তুলনায় সংক্রমণ কম। জনসচেতনতা, পরিচ্ছন্নতা এবং পুরসভার কর্মসূচির কারণেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে।”
তবে বর্ষা ও বর্ষা-পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তার উপর বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় আগামী কয়েকদিন রাজ্যজুড়ে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় জল জমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। আর এই জমা জলই ডেঙ্গি সংক্রমণের বড় উৎস। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেভাগেই সক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিব সমস্ত জেলার জেলা শাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, নিয়মিতভাবে ডেঙ্গি পরিস্থিতির আপডেট দিতে হবে। আক্রান্তের সংখ্যা, চিকিৎসার পরিকাঠামো, ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুর ও পঞ্চায়েত স্তরে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার নির্দিষ্ট রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলার কাছ থেকে।
সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তা—সচেতনতা এবং দ্রুততা না থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না। তাই আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন।