বাংলার বাড়ি : জেলা প্রশাসনকে নজরদারির নির্দেশ মুখ্যসচিবের

প্রথম দফার টাকা পাওয়ার পরও কেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি বহু উপভোক্তা— তা নিয়ে কড়া নজরদারি শুরু করল নবান্ন।

Must read

প্রতিবেদন : প্রথম দফার টাকা পাওয়ার পরও কেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি বহু উপভোক্তা— তা নিয়ে কড়া নজরদারি শুরু করল নবান্ন। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এই মর্মে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা টাকা পেয়েও কাজ শুরু করেননি, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কারণ জানতে হবে। সেই বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে।

আরও পড়ুন-কুঞ্জভঙ্গের মাধ্যমে সম্পন্ন হল শান্তিপুরের রাস উৎসব

চার জেলার পারফরম্যান্সে বিশেষ অসন্তুষ্ট মুখ্যসচিব। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ি নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার বাড়ি নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অসম্পূর্ণ বাড়ির মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৭ হাজার, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৬ হাজার, মুর্শিদাবাদে ৩৯ হাজার এবং কোচবিহারে ২৯ হাজার বাড়ি রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে তার আগে প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ করা এখন প্রশাসনের অগ্রাধিকার।
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৬৯ শতাংশ উপভোক্তা ইতিমধ্যেই বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। বাকি উপভোক্তাদের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সূচনা করেন। গ্রামীণ দরিদ্র ও গৃহহীন পরিবারের জন্য বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করার পর রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ প্রদান শুরু করে।

Latest article