নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় প্রশাসনিক কাঠামো জোরদার করছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার বিধানসভায় নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) জানান, গার্হস্থ্য হিংসা রুখতে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ইতিমধ্যেই ২৮ জন প্রোটেকশন অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বড় জেলাগুলিতে একাধিক অফিসার নিযুক্ত রয়েছেন। পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে ৩৭টি শক্তি সদন, যা এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
মন্ত্রী (Shashi Panja) জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নারী ক্ষমতায়নে গত এক দশকে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা, মানবিক ভাতার মতো প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন কোটি কোটি মহিলা। বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ২.১৫ কোটি মহিলা সহায়তা পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও ৯৩ লক্ষের বেশি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, “এই সমস্ত প্রকল্প শুধু ভাতা দেওয়ার জন্য নয়, নারীর সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।”
আরও পড়ুন- গদ্দার-সেলিমরাই যে অক্সফোর্ডের বাচালতায়, প্রমাণ করলেন সুকান্তই
শশী পাঁজা আরও জানান, ২০২৩-২৪ সালে রাজ্যে মহিলা ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যার পার্থক্য ছিল ১৩ লক্ষ। ২০২৪-২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ লক্ষে। সরকারের দাবি, এতে স্পষ্ট মহিলাদের আর্থসামাজিক ক্ষমতায়ন ও সচেতনতা বেড়েছে।