অগ্নিগর্ভ পাটনা, ভাঙচুর, আগুন, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ, গেরুয়া বিহারে স্কুলেই খুন শিশু

গেরুয়া শাসিত বিহারের রাজধানীতে ভয়ঙ্কর ঘটনা। সকালবেলা স্কুলে ঢুকল ৩ বছরের শিশু। কিন্তু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল স্কুলের মধ্যেই।

Must read

প্রতিবেদন: গেরুয়া শাসিত বিহারের রাজধানীতে ভয়ঙ্কর ঘটনা। সকালবেলা স্কুলে ঢুকল ৩ বছরের শিশু। কিন্তু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল স্কুলের মধ্যেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শুক্রবার ভোররাতে স্কুলের মধ্যেই নর্দমায় পাওয়া গেল শিশুটির মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই। এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রিয়জনেরা। তাঁদের অভিযোগ, শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে ভাঙচুর চালিয়ে স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পাটনার দিঘা থানা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। শিশুমৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাটনার বিভিন্ন এলাকা।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

একের পর এক জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। গেরুয়া বিহারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির দিকে আঙুল তুলে দলের এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করা হয়েছে, বিজেপির ভারতে এনডিএ শাসিত বিহারে একজন শিশুও নিরাপদ নয়। একটি ৩ বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করে যেভাবে স্কুলের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বেআব্রু করে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডবল-ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা। মৃত শিশুর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে তৃণমূল। অবিলম্বে এই ঘটনায় কড়া আইনি পদক্ষেপ এবং সুবিচার দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন-দেশে এই প্রথম, চার্জশিটে নাম রাজনৈতিক দলের

ঠিক কী হয়েছিল?
পাটনার দিঘা থানা এলাকায় রামজি চকের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল পালসন রোডের বাসিন্দা ৩ বছরের শিশু আয়ুষকে। কিন্তু স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরেনি সে। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও আমলই দেয়নি ব্যাপারটাকে। কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাতে আবার স্কুলেই চড়াও হয় স্থানীয় লোকজন। শুক্রবার ভোররাতে স্কুলের মধ্যে ড্রেনে পাওয়া যায় আয়ুষের দেহ। সিসিটিভি ফুটেজেও পুলিশ দেখে, শিশুটি স্কুলে ঢুকেছে, কিন্তু বের হতে দেখা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটি খুনের ঘটনা। খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্রই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাটনা। দিঘা আশিয়ানা মোড়, রামজি চক, বাটা পেট্রোল পাম্প, দানাপুর গান্ধী ময়দান-সহ বিভিন্ন জায়গায় সড়ক অবরোধ করে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ওঠে ডবল-ইঞ্জিন বিরোধী স্লোগানও।

Latest article