বিজেপি-নীতীশের বিহারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা, যুবকের গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে নির্মম অত্যাচার

Must read

প্রতিবেদন : এই হল নীতীশ-বিজেপির বিহার (Bihar)। এখানকার অমানবিকতা মধ্যযুগকেও হার মানায়। লজ্জা দেয় তালিবানি অত্যাচারকেও। ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে ফের আক্রান্ত যুবক। চোর সন্দেহে মধ্যযুগীয় অত্যাচার। গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লঙ্কার গুঁড়ো। আর্তনাদ করেও ছাড় পাননি তিনি। উল্টে সেই ভিডিও তুলে ভাইরাল করা হয়েছে। কাজটিকে অমানবিক বলে বর্ণনা করে এবং একজনকে গ্রেফতার করেই দায় সেরেছে নীতীশ কুমারের পুলিশ। ঘটনা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় থাকা জেডিইউ-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখে কুলুপ। তবে তোপ দেগেছেন আরজেডি নেতা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। একহাত নিয়েছেন এনডিএ সরকারকে। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বিহারে চলছে তালিবান-রাজ। তাঁর দলের অভিযোগ, এটা নীতীশ কুমার-বিজেপির মহাগুন্ডারাজ-মহাজঙ্গলরাজ। এরা তালিবানের চেয়েও খারাপ। মুখ্যমন্ত্রীর বোধশক্তি নেই।

আরও পড়ুন- সুপারিশ মেনে বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছে বাংলা, ন্যাশনাল জুডিশিয়াল পে কমিশন

জেডিইউ-বিজেপি শাসিত বিহারের আরারিয়ায় ঘটেছে এই নির্মম নির্যাতন। বাইক চুরির অভিযোগে এক যুবকের হাত বেঁধে, তার প্যান্ট নামিয়ে গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢেলে দেয় একদল লোক। নির্যাতনের ঘটনা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। হাড় হিম করা এই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের হাত বেঁধে, প্যান্ট নীচে নামিয়ে তাঁকে সামনে দিকে ঝুঁকিয়ে ধরে রাখে। একজন তাঁর গোপনাঙ্গে লাল লঙ্কার গুঁড়ো ঢেলে পেন দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান নির্যাতিত যুবক। কিন্তু কে শোনে কার কথা! পৈশাচিক আনন্দে হামলাকারীরা তখন দ্বিতীয় দফায় লঙ্কাগুঁড়ো ঢালছে।
ভিড়ের মধ্যে একজন পুলিশ ডাকার কথা বললেও, বাকিরা তাতে রাজি হয়নি। তাদের মতে, পুলিশ চোরদের ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ বিহারের (Bihar) পুলিশ-প্রশাসনের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। আর সেই বিজেপিই আবার বাংলা-সহ অবিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে! এই বিষয় নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে আরারিয়া পুলিশ। জানিয়েছে, চুরির অভিযোগে একজন ব্যক্তির সঙ্গে এই অমানবিক কাজ হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের মতে, এটা নিছকই আই ওয়াশ।

Latest article