প্রতিবেদন: লাদাখের বিতর্কিত সীমানায় ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। অথচ সেই সময়ই লাদাখের সীমান্তে মহড়া চালাচ্ছে চিনের সেনা। সম্প্রতি ভারত অধিকৃত লাদাখের দুটি এলাকা চিন দখল করে নিয়ে নিজেদের বলে ঘোষণা করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র নিয়মমাফিক বিবৃতি দিয়ে এর নিন্দা করেই দায় সেরেছে মোদি সরকার। আর এবার দেখা গেল, লাদাখের কাছে চিনের সেনা-মহড়ার খবরও নেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কাছে। রাজনীতিকদের দাবি, দুই এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পরেও জানতে পারেনি ভারত। এবারেও চিনা সেনা ঢুকে পড়ার পর শেষমুহূর্তে হুঁশ ফিরবে ভারতের। সম্প্রতি লাদাখের উত্তর দিকের দুটি এলাকা চিনের হোটান প্রদেশের অন্তর্গত বলে দাবি করে চিন। সেই সমস্যার এখনও কোনও সমাধান হয়নি। আদৌ সেই দুই এলাকা চিন দখল করেছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর নেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বা বিদেশমন্ত্রকের কাছে। সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী দাবি করছেন, লাদাখের দক্ষিণের ডেমচক ও ডেসপাং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে নিজেদের এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। লাদাখের মেষপালকদের যাতায়াতের তথ্য তুলে ধরে এই আশ্বাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-ইউপিআই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ
তবে হোটান নিয়ে যেমন কোনও উত্তর নেই ভারতের কাছে, তেমনই লাদাখের উচ্চ মালভূমি এলাকায় চিনা সেনা যে মহড়া চালাচ্ছে, তা নিয়েও কোনও সন্তোষজনক উত্তর নেই ভারতের কাছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অত্যাধুনিক যুদ্ধপ্রক্রিয়ার মহড়া চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র, সেনা যানবাহন ও ড্রোন হামলারও প্রস্তুতি সারা বেজিংয়ের।