প্রতিবেদন : মোদি সরকারের উদ্বেগ বাড়াল আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের একটি রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফ্রিকার জীবৌতিতে তৈরি নৌঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান, সাবমেরিন ও রণতরী মোতায়েন করতে চলেছে চিন। আমেরিকার আশঙ্কা, ভারত মহাসাগরের বুকে লাল ফৌজের এই অতি সক্রিয়তা নিশ্চিতভাবেই মোদি সরকারের মাথাব্যথার কারণ হবে। তাই ভারতের সতর্ক থাকা উচিত। ভারত মহাসাগরের বুকে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা চার দেশ একটি যৌথ অক্ষ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন-উদ্বেগ, বাড়ল রাজকোষ ঘাটতি
চলতি সপ্তাহেই চিনের জীবৌতি নৌঘাঁটি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে চিনা নৌঘাঁটির বেশ কয়েকটি উপগ্রহ চিত্র রয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই জীবৌতিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে বেজিং। খুব শীঘ্রই সেখানে আরও যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করবে লালফৌজ। এর ফলে ভবিষ্যতে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌসেনার গতিবিধি বাধা পাবে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে জীবৌতি এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। কারণ জীবৌতির এই নৌ ঘাঁটি থেকে এশিয়া ও আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অংশের উপর রীতিমতো দখলদারি চালাতে পারবে লালফৌজ।
আরও পড়ুন-জনবিরোধী কেন্দ্র উখরায় মহামিছিল
ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরের জলসীমার মধ্যেও দ্রুত প্রবেশ করে তারা চাপে ফেলবে ভারতকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই এলাকায় সোমলিয়ার জলদস্যুদের উপদ্রব রয়েছে। তাই বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে নিরাপত্তা দিতে ওই এলাকার অদূরে টহল দেয় ভারতীয় নৌসেনা। চিনের আধিপত্য বিস্তার হলে ভারতীয় সেনার পক্ষে সেটা বিশেষ চাপের হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতকে চাপে ফেলতেই ভারত মহাসাগরের বুকে বেজিংয়ের এই তৎপরতা। বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে সুয়েজ খালের মুখে জলপথে অবরোধ তৈরি করে ভারতকে চাপে ফেলতে পারে চিন।