প্রতিবেদন : গত কয়েকমাস ধরেই মালদ্বীপের (Maldives) মুইজ্জু সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে নয়াদিল্লির। মালদ্বীপের চিনপ্রীতির জেরে চাপে মোদি সরকার। এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের আবহে এবার ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের জলসীমায় আচমকাই প্রবেশ করল চিনের জাহাজ। যদিও চিনের ব্যাখ্যা, নজরদারির জন্য নয়, গবেষণার উদ্দেশ্যেই এই জাহাজের আগমন। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে চিনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ বাড়াতে চাইছে মালদ্বীপ। তাই ভারত মহাসাগরে চিনা জাহাজ ঢুকতেই বাড়তি সতর্ক ভারতীয় নৌসেনা। সূত্রের খবর, তিন মাস আগেও এমন একটি জাহাজ চিন থেকে মালদ্বীপে পাঠানো হয়েছিল। যদিও তা অস্বীকার করে দু’দেশই।
আরও পড়ুন-মন্দিরের আয়ে ১০ শতাংশ কর, নয়া বিল ঘিরে উত্তাল কর্নাটক
বৃহস্পতিবার মালদ্বীপে চিনের যে জাহাজ এসে পৌঁছেছে, তার নাম শিয়াং ইয়াং হং ০৩। এটি চিনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রকের অধীন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো হয়েছে। মাসখানেক আগে জাহাজটি দক্ষিণ চিনের বন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল। তবে জানুয়ারি মাসের পর থেকেই মালদ্বীপে ধীরে ধীরে নৌবাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে চিন। তার জেরে ভারত মহাসাগরের পরিস্থিতি নতুন করে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। এদিকে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে নয়াদিল্লির। তাই শ্রীলঙ্কার কাছে চিনা জাহাজ নোঙরে আপত্তি করে ভারত। নয়াদিল্লির অনুরোধ মেনে সেটিকে হাম্বানটোটা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি কলম্বো। কিন্তু চিনের দাবি অনুযায়ী, পরে সেই জাহাজকে নোঙরের অনুমতি দেয় মালদ্বীপ। ফলে নতুন করে চাপে ভারত।