প্রতিবেদন : মালদ্বীপ ইস্যুতে ফের নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়তে চলেছে। কারণ এবার মালদ্বীপে ঘাঁটি গাড়তে চলেছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামে ওই জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মালাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাহাজটি ভারত মহাসাগরে ঢুকে পড়তে পারে। ৮ ফেব্রুয়ারি চিনা গুপ্তচর জাহাজ মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে খবর। ভারত-মালদ্বীপ কূটনৈতিক সংঘাতের মাঝে এই ঘটনা নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর চিনমুখী অবস্থানের নিরিখে চিনা জাহাজের এই অনুপ্রবেশ বাড়তি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন- এক দেশ এক ভোট অবাস্তব, বোঝাল কমিশনও
লাক্ষাদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের পরেই মালদ্বীপ-ভারত অশান্তি শুরু হয়। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে চলতে থাকা ট্যুইট-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের শাসক দলের নেতারাও। তাঁরা প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী মন্তব্য করেন। ওই ঘটনায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে উভয়পক্ষ। একই সময়ে চিন সফর করেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। তাঁর সেই সফরের পর মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা সরাতে ১৫ মার্চের চরম সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর চিনের গুপ্তচর জাহাজের অনুপ্রবেশ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। টানাপোড়েনের এই আবহে তৃতীয়পক্ষ চিনের উপস্থিতি আরও উত্তেজনা তৈরি করতে চলেছে।
আরও পড়ুন-কুচকাওয়াজ থেকে ট্যাবলো, পুরোভাগে নারীবাহিনীর চমক ছাঁটাই সুইগিতে, কাজ হারাবেন ৪০০ কর্মী
এর আগে একাধিক চিনা নজরদারি জাহাজ ভারতের প্রতিবেশী আরেক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গেড়েছিল। ওই ঘটনায় কলম্বোর উপরে ক্ষুব্ধ হয়েছিল নয়াদিল্লি। পরবর্তীকালে ভারতের আপত্তিতে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামের চিনা জাহাজটিকে হাম্বানটোটা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার। উল্লেখ্য, প্রতিবারের মতো এবারও গুপ্তচর জাহাজটিকে ‘সমুদ্র গবেষণা’ জাহাজ বলে দাবি করছে চিন সরকার। অন্যদিকে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’-এর আগমন মুইজ্জুর চিনা ঘনিষ্ঠতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এই অবস্থায় ভারত কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।