হাইকোর্টেও জামিন পেলেন না চিন্ময়কৃষ্ণ

গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি ফের খারিজ করে দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।

Must read

প্রতিবেদন: বিচারবিভাগের উপর ইউনুস প্রশাসনের লাগাতার চাপ জারি। এই আবহে মঙ্গলবার ফের খারিজ হয়ে গেল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন। অর্থাৎ আরও অনির্দিষ্টকাল জেলেই থাকতে হবে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে জামাতপন্থী মৌলবাদীদের হাতে লাগাতার আক্রান্ত হিন্দুদের জন্য সরব হয়েছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তাঁর ডাকে বিপুলভাবে পথে নামছিলেন সংখ্যালঘু আমজনতা। ইসকনের সন্ন্যাসীর এই বিপুল জনপ্রিয়তায় সিঁদুরে মেঘ দেখে মৌলবাদীরা। গত ২৫ নভেম্বর মিথ্যা অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। ২৬ নভেম্বর তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায় চট্টগ্রামের আদালত। সেই থেকে নানাভাবে এই তরুণ সন্ন্যাসীকে জেলে আটকে রেখে হেনস্থা করছে মহম্মদ ইউনুস সরকার। মঙ্গলবার হাইকোর্টে তাঁর জামিনের শুনানিতে আবেদন নামঞ্জুর হয়ে গেল। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের হলফনামা তলব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-লোকসভা-রাজ্যসভায় তৃণমূলের তীব্র আক্রমণের মুখে মোদি সরকার

গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আর্জি ফের খারিজ করে দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাঁকে জামিন না দেওয়ার যুক্তি হিসেবে সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, চিন্ময়কৃষ্ণের নামে দেশদ্রোহিতা ছাড়াও আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। পুলিশের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই অবস্থায় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বিঘ্নিত হবে। এদিন সন্ন্যাসীর আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি অসুস্থ। তাঁর সুচিকিৎসা প্রয়োজন। যদিও আইনজীবীর সেই আর্জি গৃহীত হয়নি। তবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ হাইকোর্ট ইউনুস সরকারের কাছে হলফনামা চেয়ে জানাতে বলেছে, কেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেওয়া হবে না তা জানাতে হবে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Latest article