সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে এসে চড়িদা গ্রামে গিয়ে ছৌ-মুখোশ না কিনে ফিরে যান এমন পর্যটক নেই বললেই চলে। এবার দরকার হলে আগেভাগে খোঁজ নিয়ে নামী মুখোশশিল্পীদের তৈরি মুখোশও কিনতে পারবেন পর্যটকরা। জেলা প্রশাসনের চেষ্টায় জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) স্বীকৃতি পেয়েছে চড়িদার মুখোশশিল্প। ৩১ মুখোশশিল্পী পেয়ে গিয়েছেন জিআই শংসাপত্রও। জেলাশাসক রজত নন্দা জানান, ‘জিআই তকমার জন্য চড়িদার মুখোশশিল্পীরা আবেদন করেন।
আরও পড়ুন-ট্রেনে পাচার রুখতে বিশেষ স্কোয়াড
সেইমতো ভারতের জিআই নিবন্ধীকরণ বিভাগ তাঁদের শংসাপত্র দিয়েছে। সম্প্রতি সেগুলি শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে দেশবিদেশের মানুষ ওয়েবসাইট থেকেই এঁদের সম্পর্কে জ্ঞাতব্য তথ্য পেয়ে যাবেন।’ জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ছৌনৃত্য হয় বড় আকারের মুখোশ পরে। সেই মুখোশের আদলে ঘর সাজানোর মুখোশও তৈরি করেন এখানকার শিল্পীরা। সেগুলির বিরাট চাহিদা।’ তিনি জানান, ছৌ নেচেই ১৯৮১ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পান চড়িদার শিল্পী গম্ভীর সিং মুড়া।
আরও পড়ুন-গাড়ি বাতিল বন্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য
এই গ্রাম ছৌ-নাচ ও মুখোশশিল্পকে অন্য মাত্রায় উন্নীত করেছে। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে চড়িদার শিল্পীদের জিআই তকমা পাওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হন। এরপর মুখোশশিল্পের আরও প্রসার ঘটবে।’ মুখোশশিল্পী নেপাল সুত্রধর, ভীম সুত্রধররা বলেন, ‘জিআই স্বীকৃত শিল্পকর্মের গুনমান নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন গ্রাহকরা। সেগুলি নিয়ে একটি বিশেষ ওয়েবসাইটে প্রচারও হয়। ফলে মুখোশের বাজার প্রসারিত হবে।’