সংবাদদাতা, চুঁচুড়া : ১৬৯৫ সালে চুঁচুড়ার শেষ ডাচ গভর্নর ড্যানিয়েল অ্যান্টনি ওভারবেক এই আর্মেনিয়ান চার্চের ভিত্তিস্থাপন করেন। তৎকালীয় আর্মেনিটোলা আজ চুঁচুড়ার মোঘলটুলি। ব্যান্ডেল চার্চের পরেই বাংলার দ্বিতীয় গির্জা এটি। গির্জার মূল টাওয়ার বিশিষ্ট ঘণ্টাঘরটি তৈরি হয় ১৮১৮ সালে। এই গির্জায় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন-ব্যান্ডেল চার্চে মধ্যরাতের প্রার্থনা এবার হল আগেই
চুঁচুড়ার ইতিহাসবিদ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, এই গির্জায় রয়েছে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির একটি ছবি। এক আর্মেনিয়ান মহিলার কবর গোয়ালিয়ার থেকে এখানে সরানো হয়। সেদিক থেকে এই চার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে ২৫ ডিসেম্বর নয়, বড়দিন পালিত হয় ৬ জানু্য়ারি। ওইদিনই সেন্ট জন ব্যাপটাইজ করেন যিশুকে।
তাই সেই দিনকেই প্রভু যিশুর জন্মদিন ধরে বড়দিন পালন করেন আর্মেনিয়ানরা। ওইদিন কলকাতার আর্মেনিয়ান স্ট্রিট থেকে আর্মেনীয়রা এই গির্জায় এসে প্রার্থনা করেন। সেদিনও চুঁচুড়াবাসী কিংবা সাধারণ মানুষের প্রবেশ-অনুমতি মেলে না। বহুদিন ধরেই চুঁচুড়াবাসী এই গির্জায় প্রবেশাধিকারের দাবি তুলে আসছেন।